লোনস্টার কাশ্মীর ও হিন্দুস্থান স্পোর্টসের মধ্যে খেলা। —নিজস্ব চিত্র।
প্রত্যাশিতই ছিলই। এক ম্যাচ বিরতির পর ফের জয়ে ফিরল মহমেডান। এদিন তারা অপেক্ষাক্ৃত দূর্বল কেনকার স্পোর্টসকে হারিয়ে দেয় ৪-০ গোলে। তবে এদিন প্রায় অঘটন ঘটিয়ে ফেলেছিল ইউনাইটেড স্পোর্টস। আই লিগ দ্বিতীয় ডিভিশনের এখনও পর্যন্ত অপরাজিত দল আইজল এফসিকে প্রায় হারিয়ে দিয়েছিল। দ্বিতীয়ার্ধের অনেকটা সময় এগিয়ে থেকেও রক্ষণের গলদে পরপর তিনটি গোল খেয়ে পাহাড় প্রমাণ প্রত্যাশা চুপসে দিয়ে হারের গেরোতেই আটকে যেতে হয় তাঁদের।
মহমেডান গোটা প্রতিযোগিতায় সামর্থ অনুযায়ী খেলতে পারেনি বলে মনে করছে দলের কোচ, ম্যানেজার থেকে সাধারণ ফুটবলপ্রেমীরাও। এদিন অবশ্য লিগ টেবিলে তাদের চেয়ে নিচে থাকা কেনকারের দূর্বলতার সুযোগ নিয়ে তাদের দুরমুশ করে দিতে ভুল করেননি। ছোট দল গুলোর বিরুদ্ধে বড় ব্যবধানে জয়ের ফলে তাদের গোল পার্থক্যে যে সুবিধা হয়ে থাকছে, পরের রিটার্ন লিগে অসমে গিয়ে আইজল বা চানমারির দলের সঙ্গে দু একটা জয় লিগ তালিকায় উলোট পালট করে দিতে পারে নিমেষেই। তবে ভাল খেলেও হারের অভ্যাস ছাড়তে হবে তাঁদের।
এদিন দুটো হলুদ কার্ড থাকায় মহমেডান তাদের নির্ভরযোগ্য বিদেশী আদিলেজাকে বাইরে রেখেই মাঠে নামে। প্রথম একাদশে রাখা হয়নি অভিজ্ঞ অসীম বিশ্বাসকেও। তাতে বোধহয় কাজ হয়েছে। পরের অর্ধে মাঠে নেমে অসীম একটি গোল করে দলকে প্রয়োজনীয় ব্যবধান এনে দেন। বাকি গোলগুলি করেন, ড্যানিয়েল বিদেমি, ভি কিভি এবং বিজেন্দ্র সিংহ। এদিন প্রতিযোগিতায় সবচেয়ে ভাল লেগেছে বিদেমিকে।যদিও তার মন্থর গতি ও রিফ্লেক্সের অভাব বড় দলের বিরুদ্ধে চিন্তায় রাখবে দলের থিঙ্কট্যাঙ্ককে। তবে কেনকারের দূর্বল রক্ষণ বিদেমি, রাকেশ মাসি, অসীম বা বিজেন্দ্রদের আটকানোর উপায় খুঁজে পায়নি। মহমেডান কোচ অনন্ত ঘোষ এদিন দলের ভূমিকায় সন্তোষ প্রকাশ করলেও পরের রাউন্ডের চিন্তা তাঁর মাথায় এখন থেকেই ঘুরপাক খাচ্ছে। এদিন জেতার পর সোজা সাপটা বক্তব্য, ‘‘জয় ভালই। আমরা পরপর তিন ম্যাচে অপরাজিত থাকলাম। এটা ভাল লক্ষণ। তবে দেখতে হবে জয়ের অভ্যাসটা যেন বজায় থাকে।
এদিন অপ্রত্যাশিত ভাবে আইজলের বিরুদ্ধে দাপটে খেলে মাঝমাঠ নিজেদের দখলে রেখে দেয় ইউনাইটেড। আইজলের গতিশীল দৌড় কৌশলে থামিয়ে দেন কোচ অঞ্জন নাথ। প্রথমার্ধ জুড়ে শুধুই ইউনাইটেড। তাদের হয়ে দুটি গোল করেন গত ম্যাচের স্কোরার রাজেন বর্মন ও এলকিমা। প্রথমার্ধে ২-১ এগিয়েও পরের অর্ধে মুহুর্মুর্হু আক্রমণের মুখে খেই হারিয়ে ফেলেন। পরপর শেষ তিনটি গোল হজম করে শেষ পর্যন্ত খালি হাতেই ফিরতে হয় তাঁদের। কোচের কণ্ঠেও সেই হতাশা ঝড়ে পড়ছিল।
এদিন অন্য ম্যাচে চানমারি এফসি দূর্বল পিফার সঙ্গে আটকে গিয়েছে। খেলার দু’দলই ৩ টি করে গোল করে। এপর ম্যাচে লোনস্টার কাশ্মীর ও হিন্দুস্থান ফুটবল ক্লাবের মধ্যে খেলা গোলশূন্য ভাবে শেষ হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy