প্রতীকী চিত্র।
চলন্ত মোটরবাইক থেকে পরপর তিনটি গুলি ছোড়া নিয়েই চিন্তায় পড়েছে পুলিশ। এর আগে এই এলাকার দুষ্কৃতীদের হাতে সাধারণত দেশী ওয়ান শটার ধরনের আগ্নেয়াস্ত্রই দেখা যেত। তাতে এক বারে একটিই গুলি করা যায়। কিন্তু পরপর তিনটি গুলি ছোড়া সম্ভব ভাল পিস্তল বা রিভলভার থেকেই। বুধবার এক তরুণীকে লক্ষ করে গুলি চালানোর পরে গুলির খোলগুলো উদ্ধারের পরে পুলিশ তা খতিয়ে দেখে বুঝতে পেরেছে, যে আগ্নেয়াস্ত্র থেকে ওই গুলি ছোড়া হয়েছে, তা নাইন এমএম পিস্তল হতে পারে। তার দাম কম করেও চল্লিশ থেকে পঞ্চাশ হাজার টাকা। তবে সব গুলিই লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়েছে। দু’টি গুলি রাস্তার ধারের পাঁচিলে লাগে। একটি স্কুটি ছুঁয়ে চলে যায়।
কোথা থেকে এল এই আগ্নেয়াস্ত্র—সে প্রশ্নই এখন ভাবাচ্ছে পুলিশকে।
সেই পঞ্চায়েত ভোটের আগে থেকেই ইসলামপুরের কাছাকাছি চোপড়া উত্তপ্ত হয়ে ছিল। এই এলাকার এক দিকে বিহার সীমানা, অন্য দিকে বাংলাদেশ সীমান্ত। এখানে একাধিকবার আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহারের অভিযোগ ওঠে। তার পরে ইসলামপুর মহকুমা সম্প্রতি পুলিশ জেলা হয়েছে। নতুন পুলিশ সুপার সচিন মক্কার দায়িত্ব নিয়েছেন এ মাসেই। বৃহস্পতিবার তিনি জানান, বুধবার এক তরুণীকে লক্ষ করে গুলি চালানো নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। ওই আগ্নেয়াস্ত্রটি উদ্ধারেরও চেষ্টা হচ্ছে।
কোথা থেকে আসতে পারে ওই আগ্নেয়াস্ত্র? পুলিশের অনুমান, বিহারের মুঙ্গের থেকে ওই ধরনের পিস্তল এসেছে। ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে দুষ্কৃতীরাও চোপড়ার। তবে তাদের সঙ্গে বাইরের কোনও দুষ্কৃতী দল জড়িত কি না, তা-ও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, ওই তরুণীকে খুন করার জন্য দুষ্কৃতীদের এক লক্ষ টাকা দেওয়ার কথা হয়েছিল। অগ্রিম ৩০ হাজার টাকাও দেওয়ার কথা ছিল।
ভরদুপুরে ইসলামপুর শহরে হাসপাতাল ও বেসরকারি স্কুলের মাঝের রাস্তায় গুলির ঘটনায় এলাকায় নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। চলন্ত অবস্থায় গুলি করার জন্য ওই তরুণীর গায়ে কোনও গুলি লাগেনি। তবে লক্ষ্যভ্রষ্ট হওয়া গুলি পথচারীদের কারও গায়েও লাগতে পারত বলে আশঙ্কা অনেকের। বিষয়টি অস্বীকার করতে পারেননি পুলিশকর্মীদের একাংশও।
ইসলামপুর থানার আইসি শমীক চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘ঘটনা ঘটার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে মূল তথ্য উঠে এসেছে। ওই ঘটনায় দু’জন গ্রেফতারও হয়েছে। যে দলটি এই ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের শনাক্ত করা গিয়েছে। খুব শীঘ্রই দুষ্কৃতীদের গ্রেফতার করা সম্ভব হবে।’’ আর তখনই সব ধাঁধা কাটবে বলে পুলিশ মনে করছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy