গরম পড়তেই এ বার ঘরে ফেরার পালা। শহর ও শহর সংলগ্ন জলাশয়গুলি ছেড়ে ‘বাড়ির পথ’ ধরছে পরিযায়ী পাখিরা। তবে, গত বছরের তুলনায় এ বার পরিযায়ী পাখি কম এসেছে বলে দাবি পরিবেশকর্মীদের। আগামী শীতে কত পাখি আসবে, তা নিয়ে সতর্ক নজর রাখবেন তাঁরা। সমীক্ষা করে প্রশাসনে প্রস্তাব-সহ রিপোর্ট জমা দেওয়ার পরিকল্পনাও রয়েছে তাঁদের।
গত বছর কালীপুজোর পরপরই এসেছিল তারা। শহরের দুলাল দিঘি-সহ একাধিক জলাশয় ও করলা নদীতে প্রচুর পরিযায়ী পাখির দেখা মিলেছিল। সরালি হাঁস, ব্রাহ্মণী হাস, কাপাসি ঈগল, উত্তুরে পিনটেল-সহ অন্য পাখিদের কলকাকলিতে এত দিন ভরে ছিল জলাশয়, করলা নদীর একাংশ, তিস্তা-করলার মোহনা। গরম পড়তে শুরু হতেই ছানাপোনাদের নিয়ে নিজেদের ‘বাড়িতে’ ফিরে যাওয়ার তোড়জোড় শুরু করেছে সকলে। দল বেঁধে ফিরছে পুরনো চেনা পথে।
দুলাল দিঘি থেকে পরিযায়ী পাখিদের শেষ দলও উড়ে গিয়েছে। কয়েক দিন ধরে করলা নদী থেকেও ওদের যাওয়ার পালা শুরু হয়েছে। প্রতি বছরেই পাখিপ্রেমী ও পরিবেশপ্রেমীরা লাগাতার ওদের গতিবিধির উপরে নজর রাখেন। এ বারে শহরের জলাশয়গুলিতে পরিযায়ী পাখি তুলনামূলক ভাবে কম এসেছে বলে দাবি পরিবেশকর্মীদের একাংশের। অনিয়ন্ত্রিত নগরায়ন, গাছ কাটা, নদী ও জলাশয়ে দূষণ ও দখলই এই পরিস্থিতির জন্য দায়ী বলে মনে করেন পরিবেশপ্রেমী রাজা রাউত-সহ অন্যদের। রাজা বলেন, ‘‘ওদের সংখ্যা কমতে থাকলে প্রাকৃতিক সবুজায়ন, বাস্তুতন্ত্রের উপরে কুপ্রভাব পড়বে। আগামী শীতে আমরা ওদের নিয়ে ফের সমীক্ষা করব। প্রশাসনকে কিছু প্রস্তাবও দেওয়া হবে।’’
পুরসভার চেয়ারপার্সন পাপিয়া পাল বলেন, ‘‘করলা নদীর সংস্কার নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হয়েছে। কাজ শুরু হবে। পুরসভার তরফে আম্রুত প্রকল্পের মাধ্যমে জলাশয়গুলির সংস্কার করা হবে। দুলাল দিঘি ও জলপাইগুড়ি হাইস্কুল সংলগ্ন জলাশয়ে কাজের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।’’
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)