অতিথি নিবাস থেকে বাগডোগরার উদ্দেশে। নিজস্ব চিত্র
শহরের স্কুলগুলিতে জোরদার প্রস্ততি নেওয়া হচ্ছিল সকাল থেকে। শিক্ষক-শিক্ষিকারা মিড-ডে মিলের ঘরে নজর রাখছিলেন। শিলিগুড়ি শিক্ষা-জেলা সূত্রে খবর, মিড-ডে মিলের তদন্ত হতে পারে ভেবে কিছু স্কুলকে তৈরি থাকতে বলেছিলেন জেলার আধিকারিকেরা। কিন্তু শুক্রবার শিলিগুড়িতে স্কুল পরিদর্শনে গেলেন না কেন্দ্রীয় দলের প্রতিনিধিরা। এ দিন দুপুরে মাল্লাগুড়ির সরকারি অতিথি নিবাস থেকে বেরিয়ে তাঁরা যান বাগডোগরা বিমান বন্দরে। তদন্তকারী দলের প্রধান অনুরাধা দত্তকে দেখা গিয়েছে শহরের নামী দোকানে চা-পাতা কিনতে। সকালে প্রতিনিধি দলের কয়েক জন বেঙ্গল সাফারি পার্কে যান বলেও খবর।
কেন শুক্রবার পরিদর্শন হল না, সে বিষয়ে কেন্দ্রীয় দলের তরফে কিছু বলা হয়নি। শিলিগুড়ি শিক্ষা জেলার স্কুল পরিদর্শক রাজীব প্রামাণিক বলেন, ‘‘কেন্দ্রীয় দল যে কোনও সময় স্কুলে গিয়ে ঘুরে দেখতে পারে। তাই কিছু স্কুলকে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছিল। কেন এলেন না, সেটা তাঁদের বিষয়।’’
প্রশাসন সূত্রের খবর, শিলিগুড়িতে প্রথমে তদন্তের কথা জেলার অফিসারদের জানানো হয়নি। ১ ফেব্রুয়ারি বাগডোগরা বিমানবন্দরে নেমে কেন্দ্রীয় দল ভাগ হয়ে একটি দল সরাসরি বাগডোগরার একটি স্কুলে গিয়েছিল। সে দিনই আর একটি দল জলপাইগুড়ি গিয়েছিল। ২ ফেব্রুয়ারি একটি দল মালদহে এবং অন্যটি আলিপুরদুয়ারে গিয়েছিল। এই দলের ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত রাজ্যে থাকার এবং উত্তরবঙ্গে ৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তদন্ত করার বিজ্ঞপ্তি ছিল বলে দাবি জেলার অফিসারদের। তার ভিত্তিতে এ দিনও প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছিল জেলা শিক্ষা দফতরের তরফে।
বিষয়টি নিয়ে কটাক্ষ করেছে পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি। সংগঠনের শিলিগুড়ি শাখার সাধারণ সম্পাদক রঞ্জন শীলশর্মা বলেন, ‘‘কেন্দ্রীয় দলের মিড-ডে মিলের তদন্তে স্কুলে ঘোরার কথা। তা না করে, নিজেদের কাজেই ব্যস্ত রইলেন তাঁরা!’’ পক্ষান্তরে, বিজেপির শিলিগুড়ি সাংগঠনিক জেলার শিক্ষা সেলের আহ্বায়ক সঞ্চিত রায়ের বক্তব্য, ‘‘কেন্দ্রীয় দল নিজেদের মতো তদন্ত করেছে এবং দুর্নীতি ধরা পড়ার ভয়ে রয়েছেন যাঁরা, অবাঞ্ছিত মন্তব্য তাঁরাই করছেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy