গঙ্গার ভাঙনে বিপন্ন মালদহের রতুয়া। — নিজস্ব চিত্র।
সমস্যা ফি বছরের। কিন্তু দশকের পর দশক পেরোয়, সমাধান হয় না মালদহের নদী ভাঙনের সমস্যার। এ বারও যথারীতি রাক্ষুসে মেজাজে বিঘার পর বিঘা জমি, বসতবাড়ি গিলতে শুরু করেছে গঙ্গা। আর তার জেরে অসহায় পরিস্থিতিতে মালদহের রতুয়া ১ ব্লকের মহানন্দাটোলার কয়েক হাজার বাসিন্দা। খোলা আকাশের নীচে কাটাতে হচ্ছে রাত।
পাকাবাড়ি হোক বা কৃষিজমি— গঙ্গার কিছুতেই অরুচি নেই। গপগপিয়ে গিলতে গিলতে ক্রমশ এগোচ্ছে সে। রতুয়ায় ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছে গঙ্গার ভাঙন। এর আগে অগস্টের গোড়াতেও ভাঙন ব্যাপক আকার নিয়েছিল। কিন্তু কোনওক্রমে সে যাত্রায় যাঁদের সম্পত্তি, জমিজমা বেঁচে গিয়েছে, এ বার দুশ্চিন্তায় ডুবেছেন তাঁরাও। তাঁদের ঘোর আশঙ্কা, এ বার বুঝি সবই গেল!
মঙ্গলবার বিকেল নাগাদ নতুন করে ভাঙন শুরু হয়। ঘণ্টা দু’য়েকের মধ্যে গঙ্গা গিলে নেয় অনেকটা অংশ। পরিস্থিতি এমনই যে যাঁদের বাড়ি থেকে গঙ্গার দূরত্ব ছিল কয়েক কিলোমিটার, ভাঙনের জেরে এখন তাঁদের দুয়ারে পৌঁছে গিয়েছে নদী। এখন স্রেফ দুয়ার ভেঙে ঢোকার অপেক্ষা। রতুয়া ১ ব্লকের কান্থুটোলা এবং শ্রীকান্তিটোলা গ্রামের প্রায় দু’হাজারের বেশি পরিবার গৃহহীন হয়ে পড়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান রতুয়া বিধানসভার বিধায়ক সমর মুখোপাধ্যায়। তিনি পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন। তবে এখনও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনও ব্যবস্থা করা হয়নি বলে অভিযোগ গৃহহীনদের। তাই সারারাত খোলা আকাশের নীচে কাটাতে বাধ্য হচ্ছেন তাঁরা। অভুক্ত হয়ে রাত জেগে গঙ্গার ছোবল থেকে শেষ সম্বলটুকু বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টায় মানুষ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy