বিষক্রিয়ায় মাছের মড়ক তিস্তায়, মৎস্য দপ্তরের নিষেধ সত্ত্বেও এভাবেই প্লাস্টিকে করে মরা মাছ সংগ্রহ করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা জলপাইগুড়িতে। ছবি - সন্দীপ পাল।
জলপাইগুড়ির তিস্তা নদীতে মাছের মড়ক। রবিবার সকালে শহরের জুবিলি পার্ক সংলগ্ন নদীর বুকে বিভিন্ন প্রজাতির মৃত মাছ ভেসে উঠতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এর পরেই ওই এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। নদীর পারে ভিড় জমতে শুরু করে স্থানীয় বাসিন্দাদের। বিষক্রিয়ার জেরেই মাছ মরে ভেসে উঠেছে বলে তাঁদের অনুমান। তবে জলে ভেসে ওঠা ওই সব মাছ সংগ্রহ করতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন তিস্তাপারের বাসিন্দারা। এ দিকে, খবর পেয়ে তিস্তার জল ও মাটি পরীক্ষার জন্য এ দিন দুপুরে ঘটনাস্থলে পৌঁছন মৎস্য দফতরের প্রতিনিধিরা। স্থানীয় প্রশাসনের তরফে জলে ভেসে ওঠা মাছ না খাওয়ার জন্য প্রচার চালানো হয়েছে ওই এলাকায়।
সিকিম পাহাড়ে প্রাকৃতিক বিপর্যয়কে কেন্দ্র করে তিস্তায় ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়। সেই সময় পাহাড় থেকে তিস্তার জলে ভেসে আসে সেনাবাহিনীর অস্ত্র-সহ বিভিন্ন ধরনের সামগ্রী। এর পরে তিস্তার চর এলাকায় সেনা ও পুলিশের যৌথ অভিযানে কিছুটা বিপন্মুক্ত হলেও এখনও পুরোপুরি বিপদ কাটেনি বলে দাবি। এরই মধ্যে এ বার জলপাইগুড়ি তিস্তার এক নম্বর স্পারের সামনে মাছের মড়কের ঘটনায় নতুন করে উদ্বেগ ছড়াল এলাকায়। তবে বন্যার ভেসে আসা কোনও রাসায়নিক থেকেও জল দূষণ এবং তার জেরে এই মাছের মড়কের সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছেন না এলাকাবাসীর একাংশ।
তবে সেই আশঙ্কা সত্ত্বেও এ দিন সকাল থেকে তিস্তার জলে ভেসে ওঠা মৃত মাছ সংগ্রহ করার হিড়িক লক্ষ করা গিয়েছে। বোরোলি, দারাঙ্গি-সহ বিভিন্ন প্রজাতির নদীয়ালি মাছের মড়ক লেগেছে। তিস্তাপারের বাসিন্দা গোবিন্দ মল্লিক বলেন, ‘‘আমি দেখলাম কিছু মাছ জলে ভেসে উঠছে, আবার কিছু মাছ জলেই ছটফট করছে। এই মাছ খেতে বারণ করা হচ্ছে প্রশাসন থেকে। কারণ, এ থেকে বিষক্রিয়া হতে পারে। কিন্তু শুনছেন না অনেকেই। দু’তিন কেজি করে মাছ সংগ্রহ করে বাড়ি নিয়ে গিয়েছেন অনেকে।’’ মাছ সংগ্রহ করতে আসা তিস্তাপারের আর এক বাসিন্দা
বাবলু কীর্তনীয়া বলেন, ‘‘এত মাছ ভেসে উঠছে। এই কারণে ধরলাম। কেন এত মাছ ভেসে উঠল জানা নেই।’’ স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য কুসুম মণ্ডল বলেন, ‘‘কী ভাবে এত মাছের মৃত্যু হল জানা নেই। এই মাছ খেতে বারণ করা হচ্ছে বাসিন্দাদের।’’
এ দিকে, মৎস্য দফতরের আধিকারিক সুমন সাহা বলেন, ‘‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়েছি আমরা। জল, মাটির নমুনা ও মৃত মাছ সংগ্রহ করা হয়েছে পরীক্ষার জন্য। তবে প্রাথমিক পরীক্ষায় দেখা গেল, জলে অক্সিজেনের
মাত্রা কম। কেন এমনটা হল, নমুনা ল্যাবে পাঠিয়ে পরীক্ষার পর পরিষ্কার জানা যাবে। এই মাছ খেতে বারণ করা হচ্ছে সবাইকে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy