Advertisement
১০ অক্টোবর ২০২৪
WB Panchayat Election 2023

সময় নষ্ট না করে প্রচারে যেতে নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর

দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নেতাদেরকারও সঙ্গে বেশিক্ষণ কথা বলেননি তৃণমূল নেত্রী। মিনিট দুয়েকেরকথায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করে জয়ী হওয়ার কথা জানিয়েছেন।

প্রস্তুতি: পঞ্চায়েত নির্বাচন উপলক্ষে পতাকা টাঙাচ্ছেন তৃণমূল কর্মীরা। আলিপুরদুয়ার জংশন শিববাড়ি এলাকায়। নিজস্ব চিত্র

প্রস্তুতি: পঞ্চায়েত নির্বাচন উপলক্ষে পতাকা টাঙাচ্ছেন তৃণমূল কর্মীরা। আলিপুরদুয়ার জংশন শিববাড়ি এলাকায়। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
কোচবিহার শেষ আপডেট: ২৬ জুন ২০২৩ ০৪:৩৮
Share: Save:

পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রচারে জেলায় পৌঁছেই ঐক্যবদ্ধ ভাবে দলীয় প্রার্থীদের জিতিয়ে আনার নির্দেশ দিলেন তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রবিবার বিকাল পাঁচটায় কোচবিহার এবিএন শীল কলেজের মাঠে হেলিকপ্টারে নামেন তিনি। সেখানে ছিলেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহ, প্রাক্তন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ, দলের জেলা সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক, চেয়ারম্যান গিরীন্দ্রনাথ বর্মণ, দলের মুখপাত্র পার্থপ্রতিম রায়, প্রাক্তন মন্ত্রী পরেশ অধিকারী প্রমুখ।

দল সূত্রের খবর, ওই নেতাদের একাংশের দ্বন্দ্বের কথা নেত্রীর অজানা নয়। যদিও অভিজিৎ জেলা সভাপতি হওয়ার পরে শীর্ষ নেতাদের মধ্যে প্রকাশ্য লড়াই বন্ধ হয়েছে। তার পরেও মুখ্যমন্ত্রী যে কিছু একটা বার্তা দেবেন, ধারণা প্রত্যেকের ছিল। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নেতাদেরকারও সঙ্গে বেশিক্ষণ কথা বলেননি তৃণমূল নেত্রী। মিনিট দুয়েকেরকথায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করে জয়ী হওয়ার কথা জানিয়েছেন। বাকি কথা জয়ের পরে হবে বলে জানিয়ে গাড়িতে উঠে হোটেলেরপথে রওনা হন। নেতারাও পৌঁছেছিলেন হোটেলের সামনে। সেখানেও তাঁদের হোটেলে সময় নষ্ট না করে প্রচারে যাওয়ায় নির্দেশ দেন। শুনে তাঁরা গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে পড়েন। অভিজিৎ দে ভৌমিক বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী তথা দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সবাইকে জয়ী দেখতে চান। ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন।’’ উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহ বলেন, ‘‘দলনেত্রী আমাদের ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন।"

কলকাতা থেকে এ দিন বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ হাসিমারায় বায়ুসেনা ছাউনিতে বিমানে নামেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখান থেকে হেলিকপ্টারে কোচবিহারে এবিএন শীল কলেজের মাঠে পৌঁছন। বিশ্বসিংহ রোডের একটি হোটেলে রাত্রিবাস করার কথা তাঁর। কলেজ মাঠ থেকে হোটেল কিলোমিটার দেড়েক। ওই রাস্তার দুই ধারে দাঁড়িয়ে ছিলেন অসংখ্য তৃণমূল কর্মী ও সমর্থক। যাওয়ায় পথে একাধিক বার রাস্তায় দাঁড়িয়ে পড়ে তাঁর গাড়ি। গাড়ির দরজা খুলে দেন তিনি। অসংখ্য তৃণমূল কর্মী-সমর্থক হুমড়ি খেয়ে পড়েন। নিরাপত্তারক্ষীদের ভিড় সামলাতে হিমসিম অবস্থা হয়। দু’জন মহিলা তৃণমূল কর্মী রাস্তায় পড়ে জখম হন। গাড়ি থেকে মুখ বার করে মুখ্যমন্ত্রী রক্ষীদের ওই কর্মীদের দিকে নজর দিতে বলেন। হোটেলের সামনে গিয়ে গাড়ি থেকে নামেন তিনি। সেখানে জেলা তৃণমূল নেতারা পৌঁছন। প্ৰত্যেককে নিজের নিজের এলাকায় যেতে বলেন মুখ্যমন্ত্রী। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দলের এক নেতা বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী জেলার সমস্ত খবর রাখেন। তাই তিনি ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজের নির্দেশ দিয়েছেন।’’

বিজেপির কোচবিহার দক্ষিণ কেন্দ্রের বিধায়ক নিখিলরঞ্জন দে বলেন, ‘‘তৃণমূল দল তার পুরনো দিনের স্বচ্ছ ভাবমূর্তির নেতা-কর্মীদের অসম্মান করে। সেখানে দলনেত্রীর বার্তার কোনও গুরুত্ব কেউ দেয় না।’’

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE