শিলিগুড়িতে তরুণ প্রজন্মের নেতাদের উপর ভরসা রাখলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফাইল চিত্র।
আগামী বিধানসভা ভোটে দার্জিলিং জেলা সমতল বা শিলিগুড়িতে তরুণ প্রজন্মের নেতাদের উপর ভরসা রাখলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার দলের রাজ্যস্তর থেকে জেলাস্তর এবং বিভিন্ন শাখা সংগঠনের রদবদল হয়েছে। দার্জিলিং জেলার সমতলের সভাপতি হিসেবে দায়িত্বে রেখে দেওয়া হয়েছে রঞ্জন সরকারকে। শিলিগুড়ি, মাটিগাড়া-নকশালবাড়ি এবং ফাঁসিদেওয়া বিধানসভা কেন্দ্রের কো-অর্ডিনেটর পদে চমকও দেওয়া হয়েছে। প্রাক্তন বরো চেয়ারম্যান নিখিল সাহানিকে কো-অর্ডিনেটর করা হয়েছে। বিকাশ সরকারকে রাজ্য কমিটিতে পাঠিয়ে কুন্তল রায়ের মতো অল্পবয়সিকে জেলা যুব সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
সব জেলার পর্যবেক্ষকদের পদই এ বার তুলে দেওয়া হয়েছে। এই পদে দার্জিলিং জেলার দায়িত্বে ছিলেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। সেই সঙ্গে প্রতি জেলা কমিটির মাথায় একজন অভিজ্ঞ নেতাকে চেয়ারম্যান হিসেবে বসানো হয়েছে। দার্জিলিং জেলা সমতলের চেয়ারম্যান হিসেবে পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেবের নাম বলা হলেও রাতে দলের প্রেস বিবৃতিতে সে পদ ফাঁকা রাখা হয়েছে। গৌতমবাবুকে ২১ জনের রাজ্য সমন্বয় কমিটি বা কোর কমিটির সদস্য করা হয়েছে। জেলাস্তরের কোর কমিটি নিয়েও নতুন করে কোনও ঘোষণা হয়নি। গৌতমবাবু বলেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে দায়িত্ব দেন, তা পালন করি। জেলার চেয়ারম্যান পদে ছিলাম। আবার দায়িত্ব দেওয়া হলে কাজ করব।’’ তবে, তাঁর নাম ঘোষণার পরেও দলের বিবৃতিতে কেন পদ ফাঁকা রাখা হল, তা নিয়ে গৌতমবাবু মন্তব্য করতে চাননি।
দার্জিলিং জেলা তৃণমূল সভাপতি রঞ্জনবাবু বলেন, ‘‘আমরা সবাইকে নিয়ে নেত্রীর দেখানো পথে মানুষের পাশে থাকব।’’
তৃণমূলের অন্দরের খবর, অবাঙালি সম্প্রদায়ের একটি বড় অংশের মধ্যে তরুণ নেতা হিসেবে পরিচিতি রয়েছে নিখিলবাবুর। শহরের অনেকগুলি ওয়ার্ডে অবাঙালি সম্প্রদায়ের বসবাস। এঁদের প্রতিনিধি হিসেবেই নিখিল সাহানিকে সামনে আনা হল।
জেলা যুব সভাপতি হিসেবে বিকাশ সরকার কয়েকবছর ধরে কাজ করছিলেন। তিনি একসময় যুব কংগ্রেস সভাপতিও ছিলেন। বহুদিন থেকেই যুব সভাপতি বদল নিয়ে দলে আলোচনা চলছিল। বিকাশবাবুকে যুব সংগঠনের রাজ্য কমিটির সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে। তাঁর জায়গায় আসা কুন্তল রায় টিএমসিপি ছাড়াও যুব সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত। জেলার নেতাদের কয়েকজনের বক্তব্য, জেলা যুব সংগঠনের মতো মহিলা এবং ছাত্র সংগঠনের রদবদলও প্রয়োজন। তাঁদের মতে, জেলা মহিলা তৃণমূলের দায়িত্বে কেউ কেউ বহুদিন ধরে আছেন, তাঁদের সরিয়ে নতুনদের দায়িত্ব দেওয়া দরকার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy