নজরদারি: আলুর দাম নিয়ন্ত্রণে বাজারে অভিযান। রায়গঞ্জে। নিজস্ব চিত্র
মালদহ জেলায় আলুর দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে ন্যায্য মূল্যে তা বিক্রি করতে পারে প্রশাসন। সে ক্ষেত্রে, জেলার হিমঘরগুলি থেকে সুনির্দিষ্ট দরে আলু কিনে কৃষি বিপণন দফতরের মাধ্যমে জেলার বিভিন্ন বাজারে তা বিক্রি করা হতে পারে। পাশাপাশি, হিমঘরগুলিতে কত আলু মজুত রয়েছে বা কী পরিমাণ আলু গেট পয়েন্ট থেকে বিক্রি করা হচ্ছে, তা নিয়ে নিয়মিত নজরদারি চালানো হবে। মঙ্গলবার বিকেলে জেলা প্রশাসনিক ভবনে হিমঘর মালিকদের সঙ্গে জেলাশাসক-সহ আধিকারিকদের বৈঠকে এমনই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
মালদহ জেলায় আলু বিক্রি নিয়ে ব্যবসায়ীদের একাংশ কালোবাজারি করছেন বলে অভিযোগ ওঠে। অভিযোগ, জেলার খুচরো আলু ব্যবসায়ীদের একাংশ পোখরাজ আলু ২৩-২৪ টাকা কেজি পাইকারি দরে কিনে তা ৩০-৩৫ টাকা দরে বিক্রি করছেন। আবার বর্ধমান ও অন্য জেলা থেকে আসা জ্যোতি আলু ২৮ থেকে ২৮ টাকা ৪০ পয়সা পাইকারি দরে কিনে তা-ও ৩০-৩৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হচ্ছে।
প্রশাসনিক সূত্রে খবর, মালদহ জেলার আটটি হিমঘরে এ বছর প্রায় ৬৮ হাজার ৩১০ মেট্রিক টন আলু মজুত করা হয়েছিল। মঙ্গলবার পর্যন্ত প্রায় ৩৮ হাজার ৪৫৮ মেট্রিক টন আলু বিক্রি করা হলেও, বাকি আলু এখনও মজুত রয়েছে। অভিযোগ, হিমঘরে প্রায় ৪৪ শতাংশ আলু এখনও মজুত থাকলেও সেই আলু বাজারে বিক্রির জন্য আসছে না। বিষয়টি প্রশাসনের নজরে আসায় তড়িঘড়ি দুটি টাস্ক ফোর্স গঠন করে জেলা প্রশাসন।
প্রশাসনিক সূত্রে খবর, আলু বিক্রি নিয়ে এবং হিমঘরে প্রচুর পরিমাণ আলু মজুত থাকা নিয়ে বিভিন্ন মহলে অভিযোগ ওঠায় এ দিন বিকেলে জেলা প্রশাসনিক ভবনে জরুরি বৈঠক ডাকা হয়। বৈঠকে জেলাশাসক রাজর্ষি মিত্র, অতিরিক্ত জেলাশাসক (উন্নয়ন) অর্ণব চট্টোপাধ্যায়, জেলা কৃষি বিপণন দফতরের আধিকারিক, জেলার আটটি হিমঘর মালিক কর্তৃপক্ষ ছিলেন। জেলাশাসক বলেন, "আলুর দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে নিয়মিত বাজারে অভিযান চালাবে টাস্ক ফোর্স। হিমঘরেও নজরদারি চালানো হবে।" হিমঘর মালিকদের পক্ষে উজ্জ্বল সাহা বলেন, "আমরা প্রশাসনকে সহযোগিতা করব।"
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy