প্রতীকী ছবি।
মালদহে একাদশ শ্রেণির ছাত্রী খুনের ঘটনায় ধৃতকে জেরায় বেশ কিছু নতুন তথ্য উঠে এসেছে বলে দাবি করল পুলিশ। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট দেখে তদন্তকারীদের দাবি, পাঁচ দিন ধরে নিঁখোজ থাকা ওই কিশোরীকে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছিল। শুধু তা-ই নয়, খুনের আগে কিশোরীকে ধর্ষণও করা হয়েছিল বলে মনে করছে পুলিশ। তদন্তকারীরা জানালেন, জেরায় খুনের দায় স্বীকার করে নিয়েছেন অভিযুক্ত ‘প্রেমিক’। শুক্রবার ধৃতকে মালদহ জেলা আদালতে হাজির করানো হয়।
গত ১৮ জুন রবিবার রাতে মালদহ থানার যাত্রাডাঙা অঞ্চলের হালনা গ্রামে বাড়ির কাছ থেকে নিখোঁজ হয় ওই ছাত্রী। একাদশ শ্রেণিতে পড়ত সে। এর পর ২২ জুন, বুধবার সকালে ছাত্রীর বাড়ির পাশে একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে ফোঁটা ফোঁটা রক্তের দাগ দেখা যায়। এ ছাড়া শরীর টেনেহিঁচড়ে নিয়ে যাওয়ারও কিছু চিহ্ন মেলে। পুলিশের কাছে স্থানীয় বাসিন্দারা বিষয়টি জানালে পুলিশ ওই পরিত্যক্ত বাড়ির চারপাশ সরেজমিনে দেখে। একটি অন্তর্বাস এবং ব্যাগ উদ্ধার করা হয়। ব্যাগ তল্লাশি করে একটি চিঠিও পাওয়া যায়। পুলিশ সূত্রে খবর, উদ্ধার হওয়া চিঠিতে লেখা ছিল, ‘তুমি তো ওকেই বিয়ে করবে। তার জন্য আমাকে গাল দিচ্ছ। যেখানেই বিয়ে কর, শুধু এ টুকু বলব ভাল থেকো। যেখানে বিয়ে লাগছে তোমার সেখানে বিয়ে করে নিও। ভাল কাউকে দেখে বিয়ে করে নিও।’ ওই চিঠির সূত্র ধরেই নিহত কিশোরীর ‘প্রেমিক’ শামিম আখতারকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
এর পর শামিমকে লাগাতার জিজ্ঞাসাবাদ করে ওই বাড়ি সংলগ্ন পুকুর থেকে উদ্ধার হয় তরুণীর দেহ। এর পর পুলিশি জেরায় ছাত্রী খুনের অভিযোগও স্বীকার করে নিয়েছেন ধৃত শামিম। জেরায় এক সময় মানসিক ভাবে ভেঙে পড়ে তিনি জানিয়েছেন, তিনিই কিশোরীকে প্রেমঘটিত কারণে খুন করেছে। পুরাতন মালদহ থানার পুলিশ ধৃতের বিরুদ্ধে ৩৬৪ ধারায় খুনের উদ্দেশ্যে অপহরণ, ৩০২ ধারায় খুন, ২০১ ধারায় মৃতদেহ লোপাটের চেষ্টা এবং পকসো আইনের ৬ ধারায় নাবালিকাকে যৌন নির্যাতনের মামলা রুজু করেছে।
শুক্রবার শামিমকে আদালতে হাজির করানো হলে সে বলে, ‘‘ওর (কিশোরীর) অন্য ছেলের সঙ্গে প্রেম চলছিল। তাই ওকে গলা টিপে খুন করে দেহ পুকুরে ফেলে দিয়েছি। আমি একাই এই কাজ করেছি।’’ যদিও পুলিশ মনে করছে, শামিমের পক্ষে এই কাজ একা করা সম্ভব নয়। নিশ্চয়ই তার সঙ্গে অন্য কেউ ছিল। কিশোরী খুনের ঘটনায় আর কারা জড়িত রয়েছে, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
(গুরুতর অপরাধে অভিযুক্তকে ‘আপনি’ সম্বোধনে আপত্তি প্রকাশ করেন কেউ কেউ। কিন্তু আইনের বিচারে দোষী সাব্যস্ত হননি, এমন অভিযুক্তকে ‘আপনি’ সম্বোধনেরই পক্ষপাতী আনন্দবাজার অনলাইন)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy