নজরদার: রায়গঞ্জের রাড়িয়া গ্রামে টহল কেন্দ্রীয় বাহিনীর। ছবি: সন্দীপ পাল
রায়গঞ্জ ব্লকের বরুয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের রাড়িয়া ও হেমতাবাদ ব্লকের হেমতাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েতের সমাসপুর এলাকায় রুটমার্চ করল কেন্দ্রীয় বাহিনী। বুধবার দুপুরে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানেরা প্রথমে রাড়িয়া এলাকায় রুটমার্চ করেন। বিকেলে তাঁরা সমাসপুর এলাকায় রুটমার্চ করেন। সমাসপুরে কেন্দ্রীয় বাহিনীর রুটমার্চে নেতৃত্ব দেন উত্তর দিনাজপুরের জেলাশাসক অরবিন্দকুমার মিনা ও পুলিশ সুপার সুমিত কুমার।
জেলা নির্বাচনী দফতর সূত্রের খবর, কিছু দিন আগে জেলায় এক কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী এসেছে। চোপড়ায় রাজনৈতিক সংঘর্ষ ও গোলমাল লেগে থাকার কারণে গোড়া থেকেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের চোপড়ায় রুটমার্চ করানো হয়েছে। গত এক সপ্তাহ ধরে চোপড়ায় স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরে এসেছে। সেই কারণে, এ দিনই প্রথম কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের ইসলামপুর মহকুমার চোপড়া থেকে তুলে এনে রায়গঞ্জ মহকুমার ওই দুই এলাকায় রুটমার্চ করানো হয়েছে। জেলা পুলিশের দাবি, গত বছর পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন রাড়িয়া এলাকায় তৃণমূল ও বিজেপির কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। তৃণমূলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস ও ছাপ্পা ভোট দেওয়ার অভিযোগে তৃণমূলের নেতা ও কর্মীদের একটি গাড়ি ও একাধিক মোটরবাইক ভাঙচুর করে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে যাতে লোকসভা নির্বাচনের আগে কোনও গোলমাল না হয়, তার জন্য এ দিন বাহিনীর জওয়ানদের দিয়ে ওই এলাকায় রুটমার্চ করানো হয়েছে।
পাশাপাশি, গত পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন সমাসপুর এলাকাতেও তৃণমূল ও বিজেপির কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে লোকসভা নির্বাচনে যাতে নতুন করে উত্তেজনা না ছড়ায়, তার জন্য এদিন সেখানেও কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের দিয়ে রুটমার্চ করানো হয়।
বিজেপির জেলা সভাপতি নির্মল দামের বক্তব্য, ‘‘তৃণমূলের সন্ত্রাস রুখতে কিছু দিন আগে দলের তরফে নির্বাচন কমিশনের কাছে জেলার নয়টি ব্লকের সমস্ত এলাকাতেই কেন্দ্রীয় বাহিনীকে দিয়ে রুটমার্চ করানোর দাবি জানিয়েছিলাম। জেলার বিভিন্ন এলাকায় সেই রুটমার্চ শুরু হওয়ায় আমরা খুশি।’’
জেলা তৃণমূল সভাপতি অমল আচার্যের পাল্টা বক্তব্য, ‘‘বিজেপি কেন্দ্রীয় বাহিনীকে জেলায় পাঠিয়ে সাধারণ মানুষকে ভয় দেখিয়ে লোকসভা নির্বাচনে ভোট লুঠের চেষ্টা শুরু করেছে। জেলার শুভবুদ্ধিসম্পন্ন বাসিন্দারা উন্নয়নের স্বার্থে তৃণমূলের পাশে রয়েছেন।’’ জেলা পুলিশ সুপার সুমিত কুমারের বক্তব্য, কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানেরা জেলা জুড়ে রুটমার্চ করে বাসিন্দাদের আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর কাজ শুরু করেছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy