তৃণমূলের বুথ দখল করতে পারে, এই আশঙ্কা প্রকাশ করে মালদহ জেলায় ৬০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনী পাঠানোর দাবিতে নির্বাচন কমিশনের দারস্থ হলেন দক্ষিণ মালদহের কংগ্রেস প্রার্থী আবু হাসেম খান চৌধুরী (ডালু)। দলের একঝাঁক প্রবীণ কেন্দ্রীয় ও রাজ্য নেতাদের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে দিল্লি গিয়ে গত ৯ তারিখ মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল অরোরার সঙ্গে দেখা করে এই দাবি জানিয়েছেন ডালুবাবু। তাঁর দাবি, পরের দিন এই রাজ্যের দায়িত্বে থাকা নির্বাচন কমিশনের ডেপুটি কমিশনারের সঙ্গে দেখা করেও একই দাবি জানিয়েছেন তিনি। কারণ তাঁর অভিযোগ, জেলার দু’টি লোকসভা আসনের বুথগুলিতে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনী না থাকলে শাসকদল পুলিশ-প্রশাসনকে কাজে লাগিয়ে বুথ দখল করে নেবে। সাধারণ মানুষ ভোট দিতে পারবেন না। তৃণমূল অবশ্য ডালুবাবুর এই অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছে।
মালদহ জেলার মালদহ উত্তর ও মালদহ দক্ষিণ এই দু’টি লোকসভা আসনে নির্বাচন আগামী ২৩ এপ্রিল। বৃহস্পতিবারই জেলাশাসক সাংবাদিক বৈঠক করে জানিয়েছেন, পর্যবেক্ষকদের সঙ্গে আলোচনা করে জেলার ৩২৬টি বুথকে স্পর্শকাতর হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। সেই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। রুট মার্চ করে ভোটারদের আস্থা জোগাতে ৩ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী দু’একদিনেই জেলায় ঢুকবে। তবে ভোটে জেলায় কত কোম্পানি কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনী আসবে, তা জানাতে পারেননি জেলাশাসক। এ দিকে, তৃণমূল বুথ দখল করতে পারে, এই আশঙ্কায় নির্বাচন কমিশনের কাছে মালদহ জেলায় ৬০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনী পাঠানোর দাবি করলেন দক্ষিণ মালদহের কংগ্রেস প্রার্থী আবু হাসেম খান চৌধুরী (ডালু)।
কোতোয়ালি ভবনে বসে শুক্রবার ডালুবাবু জানান, গত ৯ তারিখ প্রদীপ ভট্টাচার্য, মনু সিংভি, আহমেদ পটেল, কপিল সিব্বল, গৌরব গগৈর মতো কেন্দ্রীয় ও প্রদেশ কংগ্রেসের নেতাদের সঙ্গে তিনিও দিল্লিতে মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে দেখা করেন। সেখানেই তিনি জেলার জন্য ৬০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠানোর আর্জি জানান। তাঁর দাবি, ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে জেলায় ৫০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠানো হয়েছিল। এ বার ৬০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী না পাঠালে অবাধ ভোট সম্ভব নয়।
তাঁর অভিযোগ, তৃণমূল জেলার একাধিক এলাকায় সন্ত্রাস কায়েম করেছে। বিরোধীদের ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। বিশেষ করে সুজাপুর বিধানসভার অন্তর্গত সুজাপুর, গয়েশবাড়ি, বামনগ্রাম-মোসিমপুর, জালালপুর, জালুয়াবাধাল, মোজমপুর, নওদা যদুপুর, কালিয়াচক ২, সিলামপুর ২, আলিপুর ২ প্রভৃতি গ্রাম পঞ্চায়েতেগুলিতে তৃণমূল বুথ দখল করতে পারে বলেও তাঁর অভিযোগ। এ ছাড়া, রতুয়া ১ ও ২, গাজল, হরিশ্চন্দ্রপুর ২, চাঁচল ১ ও ২ প্রভৃতি ব্লকেও একাধিক বুথ দখলের সম্ভাবনা রয়েছে।
ডালুবাবু বলেন, “তৃণমূল বুথ দখল করতে পারে, সেই
আশঙ্কা করেই ৬০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠানোর আর্জি জানিয়েছি কমিশনে।” তৃণমূলের মালদহ জেলা কার্যকরী সভাপতি দুলাল সরকার বলেন, “আসলে ডালুবাবু বুঝে গিয়েছেন যে, এ বার তাঁর পায়ের তলায় মাটি নেই। জেলার সমস্ত মানুষ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের ছাতার তলে। তাই আতঙ্কে ডালুবাবু দলের বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলছেন। ভোটেই তিনি জবাব পাবেন।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy