Advertisement
২৪ নভেম্বর ২০২৪
quarantine centre

কোয়রান্টিন কেন্দ্র ফাঁকা, বাড়ছে চিন্তা

স্থানীয় নেতাদের একাংশের মদতেই তাঁরা গাড়ি, বাস ভাড়া করে ফিরছেন, এলাকায় কান পাতলে এমনও শোনা যাচ্ছে। আবার তাঁরা নিজেদের সুস্থ দাবি করে কোয়রান্টিনে না থেকে উল্টে এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন, উঠছে এমন অভিযোগও।

ফাইল চিত্র—এপি

ফাইল চিত্র—এপি

বাপি মজুমদার
চাঁচল শেষ আপডেট: ০৪ এপ্রিল ২০২০ ০৬:০৬
Share: Save:

হরিশ্চন্দ্রপুরে ইনস্টিটিউশনাল কোয়রান্টিন চালু করা হয়েছে তিনটি। তার একটিতেই রয়েছেন মাত্র ছ’জন শ্রমিক। চাঁচলে চারটি ইনস্টিটিউশনাল কোয়রান্টিনে সাকুল্যে রয়েছেন ২৬ জন। ভিন্ রাজ্য থেকে ফিরে আসা শ্রমিকদের অধিকাংশই হোম কোয়রান্টিনে না থেকে এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন বলে প্রতিবেশীরা অভিযোগ তুলেছিলেন। তার পরেই প্রশাসনের তরফে কমিউনিটি বা ইনস্টিটিউশনাল কোয়রান্টিন চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়। ভিন্ রাজ্য থেকে ফিরে সেখানে তাঁদের দু’সপ্তাহ থাকা বাধ্যতামূলক করা হয়। কিন্তু শ্রমিকদের একাংশ সেই নিয়ম মানছেন না বলে অভিযোগ। এ দিকে বাস, ট্রেন বন্ধ। সিল করে দেওয়া হয়েছে সীমান্ত। কিন্তু তার পরেও ভিন্ রাজ্য থেকে অনেক শ্রমিকই ফিরছেন বলে জানা গিয়েছে। এমনকী স্থানীয় নেতাদের একাংশের মদতেই তাঁরা গাড়ি, বাস ভাড়া করে ফিরছেন, এলাকায় কান পাতলে এমনও শোনা যাচ্ছে। আবার তাঁরা নিজেদের সুস্থ দাবি করে কোয়রান্টিনে না থেকে উল্টে এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন, উঠছে এমন অভিযোগও। ফলে বড়সড় বিপদের ঝুঁকি থেকেই যাচ্ছে বলে আতঙ্কিত বাসিন্দাদের একাংশ।

বৃহস্পতিবার হরিশ্চন্দ্রপুরে বিহার সীমানার নাকা চেকিং পরিদর্শনে এসেছিলেন জেলা পুলিশ সুপার অলক রাজোরিয়া। তিনি অবশ্য বলেন, “সীমানায় কড়া নিরাপত্তা রয়েছে। আর শ্রমিকদের কেউ বাড়ি ফিরে কোয়রান্টিনে না থাকলে পুলিশ দিয়ে তুলে এনে তাঁকে কমিউনিটি কোয়রান্টিনে রাখা হবে”।

তবে পুলিশও জানিয়েছে, সীমান্ত দিয়ে যানবাহন ঢুকছে কি না তা তল্লাশি করা সহজ। কিন্তু বহু এলাকা রয়েছে, যেখান দিয়ে সহজেই পায়ে হেঁটে অনেকেই ঢুকে পড়ছেন। বাসিন্দারা সচেতন না হলে পুরো সীমানা বরাবর পুলিশের পক্ষে নজরদারি চালানো সম্ভব নয়।

আর অভিযোগ, যাঁরা এ ভাবে ঢুকছেন, তাঁদের সরাসরি মদত দিচ্ছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের একাংশ। রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধির জন্য লকডাউন ব্যর্থ হতে বসেছে বলেও দাবি বাসিন্দাদের অনেকের। ইনস্টিটিউশনাল কোয়রান্টিন কেন্দ্রগুলির দিকে তাকালেও বাসিন্দাদের সেই অভিযোগের ছবিটাই ধরা পড়ে।

প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, হরিশ্চন্দ্রপুর কলেজ, আইটিআই কলেজ ও হাসপাতালের সামনে ভজমোহন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কোয়রান্টিন কেন্দ্র চালু হয়েছে। কিন্তু একমাত্র আইটিআই কলেজে মাত্র ছয় শ্রমিক রয়েছেন। চাঁচলে আশাপুর প্রাথমিক কেন্দ্র খালি, তিনটি গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘরে ফেরা শ্রমিকদের জন্য ডিপি মল্লিকপাড়া হাই স্কুল কেন্দ্রে রয়েছেন ২০ জন। দরিয়াপুর হাই স্কুলে পাঁচ ও সিদ্ধেশ্বরী স্কুলে এক জন রয়েছেন।

এই প্রসঙ্গে জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিকের খেদোক্তি, কেউ আত্মঘাতী হলে প্রশাসন কী করতে পারে। এ ক্ষেত্রে প্রতিবেশীরা আরও সজাগ হলে পরিস্থিতি কিছুটা হলেও পাল্টাবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

অন্য বিষয়গুলি:

lock down malda
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy