প্রতীকী ছবি।
ডেঙ্গি-পরিস্থিতি দেখতে গিয়ে বাসিন্দাদের ক্ষোভের মুখে পড়লেন স্বাস্থ্য বিভাগের মেয়র পারিষদ দুলাল দত্ত এবং স্থানীয় কাউন্সিলরের লোকজন। শুক্রবার শিলিগুড়ি পুরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডে নতুনপাড়া এলাকায় অনেকেই ডেঙ্গি আক্রান্ত। বহু বাড়িতে জ্বরের রোগী। কাউন্সিলর অনিতা মাহাতোও জ্বর থেকে পুরো সুস্থ হননি। জ্বরে আক্রান্ত তাঁর মা-ও। অনেক বাড়িতে দু’-তিন জন করে ডেঙ্গি আক্রান্ত। লাগোয়া ৪ নম্বর ওয়ার্ডের স্বাস্থ্যকেন্দ্রের দু’জন কর্মীও আক্রান্ত। ৫ নম্বর ওয়ার্ডে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত অন্তত ৪০ জন। শিলিগুড়ি পুরসভা এলাকায় মোট আক্রান্ত ২৫৭।
এ দিন ৫ নম্বর ওয়ার্ডে আক্রান্ত একটি পরিবারের বাড়িতে গিয়ে মেয়র পারিষদ জানান, বাড়ির ভিতরে জল জমে থাকছে। তা থেকে ডেঙ্গির বাহক মশা জন্মাচ্ছে। এলাকার অনেকে আক্রান্ত হচ্ছেন এ জন্য। পরিবারের তরফে পিঙ্কি দত্ত এবং পরিবারের অন্যেরা তা শুনে ক্ষোভে ফেটে পড়েন। তাঁদের পাল্টা দাবি, বাড়ির ভিতরে কোথাও জল জমে নেই। বরং, এলাকা নিয়মিত সাফাই না হওয়ায় আবর্জনার জলে মশা হচ্ছে। অথচ, বাসিন্দাদের দোষারোপ করা হচ্ছে। এলাকার কাউন্সিলরকে আবর্জনা সাফ করতে বারবার বলা হচ্ছে। কিন্তু নিয়মিত সাফাই হচ্ছে না। ওয়ার্ড কমিটির সম্পাদক তথা কাউন্সিলরের বাবা অশোক মাহাতোর দাবি, ‘‘আমরা পরিষ্কার করছি। তবে লোক কম বলে সমস্যা হচ্ছে। পুরসভাকে বার বার বলেছি।’’
পিঙ্কি এবং তাঁর বড় ছেলে ১৬ বছরের সৌম্যজিৎ দিন কয়েক আগে, ডেঙ্গি থেকে সুস্থ হয়েছেন। তাঁর ছোট ছেলে আক্রান্ত হয়ে নার্সিংহোমে ভর্তি। ২০১৭ সালেও ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছিল পরিবারটি। পরে, মেয়র পারিষদ বলেন, ‘‘শহরের বাসিন্দারা সচেতন নন। বাড়িতে সমীক্ষা করতে দল গেলে সাহায্য করছেন না। ঘরে ঢুকতে দেন না। অনেক সময় আশপাশের বাড়ি থেকে দেখা যাচ্ছে ওই বাড়িতে জল জমে মশা হচ্ছে। রোগ ছড়াচ্ছে। তাই তাঁরা সচেতন হলে ভাল হয়। এ দিনও যে বাড়িতে যাওয়া হয়, সেখানে জল জমে থাকছে বলে জানা যায়।’’
দুলাল জানান, ১, ২, ৪, ৫, ১৪, ৪২ নম্বরের মতো বেশ কিছু ওয়ার্ড ‘স্পর্শকাতর’ বলে চিহ্নিত হয়েছে। মেয়র পারিষদ গেলে ৫ নম্বর ওয়ার্ডে ব্লিচিং ছড়ানো, ধোঁয়া দিতে তৎপরতা দেখা দেয়। সাফাইয়ের কাজও হয়। ৪ নম্বর ওয়ার্ডের স্বাস্থ্যকেন্দ্রের দু’জন মহিলা কর্মীও ডেঙ্গি আক্রান্ত। লাগোয়া বাড়ির এক তরুণীও আক্রান্ত। সুমিত্রা মণ্ডল, আবদুল রহমানদের মতো বাসিন্দারা জানান, অনেক পরিত্যক্ত জমিতে, কুয়োতে জমা জলে ডেঙ্গির মশা জন্মাচ্ছে। তাঁদের অভিযোগ, নিয়মিত সাফাই হয় না। স্প্রে দেওয়া হয় খুব কম। বিষয়টি দেখার আশ্বাস দেন মেয়র পারিষদ (স্বাস্থ্য)।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy