বন দফতরের পাতা খাঁচায় বন্দি চিতাবাঘ। — নিজস্ব চিত্র।
চিতাবাঘ নিয়ে ধুন্ধুমার উত্তরের দুই জেলায়। শিলিগুড়ির উপকণ্ঠে একটি পরিত্যক্ত জমিতে একটি চিতাবাঘকে ঘুরে বেড়াতে দেখে আতঙ্ক ছড়ায় শিবমন্দির এলাকায়। অন্য দিকে নাগরাকাটার চা বাগানে বন দফতরের পাতা ফাঁদে ধরা পড়েছে একটি চিতাবাঘ। সব মিলিয়ে রবিবার চিতাবাঘ নিয়েই হুল্লোড় চলল দুই জেলায়।
রবিবার দুপুরে শিবমন্দির এলাকার বিএড কলেজের পাশে একটি পরিত্যক্ত জমিতে দেখা মেলে চিতাবাঘের। লোকালয়ে চিতাবাঘের দেখা মেলায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকায়। খবর দেওয়া হয় বাগডোগরা বন বিভাগকে। গোটা এলাকা থেকে ভিড় সরিয়ে চিতাবাঘটিকে ধরার চেষ্টা করছে বন বিভাগ। এ দিকে চিতাবাঘ দেখতে এলাকায় উপচে পড়া ভিড়। সবাই চান চিতাবাঘকে নিজের ক্যামেরাবন্দি করতে। এত মানুষ জড়ো হওয়ায় চিতাবাঘটি এলোমেলো দৌড়তে শুরু করেছে। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত চিতাবাঘটিকে কব্জা করতে পারেনি বন দফতর।
কার্শিয়াং ডিভিশনের এডিএফও ভুপেন বিশ্বকর্মা বলেন , ‘‘এই পরিত্যক্ত জমিতেই চিতাবাঘটি রয়েছে বলে আমরা নিশ্চিত। আপাতত জাল লাগানো হয়েছে৷ প্রয়োজনে ঘুমপাড়ানি গুলিরও ব্যবহার করা হবে। আশেপাশে ছোট, বড় জঙ্গল এবং চা বাগান আছে। সেখান থেকেই চিতাবাঘটি আসতে পারে। তবে আগে এই এলাকায় এ ধরনের ঘটনা ঘটেনি।’’ এলাকাবাসী রানা ঘোষাল, সুধা চক্রবর্তীরা বলেন, ‘‘একে বারে চোখের সামনেই লাফিয়ে পড়ল চিতাবাঘটি! আমরা সকলেই ভয়ে তটস্থ। দেখা যাক বন বিভাগ কী করে চিতাবাঘকে আয়ত্বে আনে।’’
অন্য ঘটনাটি ঘটেছে নাগরাকাটার গাঠিয়া চা বাগানে। রবিবার বাগানের কেডি-টু সেকশনে শ্রমিকরা কাজ করতে গেলে দেখতে পান খাঁচার মধ্যে একটি চিতাবাঘ বন্দি হয়েছে। বাগানে বেশ কিছু দিন ধরেই চিতাবাঘের আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছিল। চিতাবাঘের উপস্থিতি টের পেয়ে বাগান কর্তৃপক্ষ বন দফতরের কাছে অনুরোধ জানান, খাঁচা পাতার জন্য। সেই খাঁচায় রবিবার ভোরে চিতাবাঘটি ধরা পড়ে। বেশ কিছু দিন ধরেই চিতাবাঘের কারণে আতঙ্কে রয়েছেন বাগানের শ্রমিকরা। এর আগে গত ডিসেম্বরে গাঠিয়া চা বাগানের ওই সেকশনেই কাজের সময় লক্ষ্মী ওরাওঁ ও শুভম ওরাওঁ নামে দুই শ্রমিকের উপর ঝাঁপিয়ে পড়েছিল একটি চিতাবাঘ। বন দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, চিতাবাঘটিকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর গরুমারা জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy