প্রচারে সাধু টুডু। নিজস্ব চিত্র
শক্ত লাল মাটি হিসেবে রাজনীতিতে পরিচিত মালদহের হবিবপুর। কিন্তু সেই মাটিতেই এ বারের পঞ্চায়েত ভোটে ফুটেছে পদ্মফুল। এছাড়া ইতিউতি ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে ঘাসফুলও। এমন অবস্থায় লোকসভা ভোটের মুখে পদ্ম শিবিরে যোগ দিয়ে উত্তর মালদহের প্রার্থী হয়েছেন খগেন মুর্মু। ফলে বামেদের মাটি আরও আলগা হয়ে গিয়েছে হবিবপুরে। উপনির্বাচনে আলগা হয়ে যাওয়া জমি উদ্ধারে মরিয়া বামেরা। তাই গাজলের এক সময়ের বিধায়ক সাধু টুডুকে ওই কেন্দ্রের প্রার্থী করা হয়েছে। অচেনা মাটিতে দিনভর ঘুরে ঘুরে ভোট প্রচারও করছেন সাধু। যদিও হবিবপুরে বামেদের ভোট ব্যাঙ্ক নেই বলে কটাক্ষ করেছে বিরোধীরা।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
রাজনীতিতে বামেদের দুর্গ হিসেবে পরিচিত ছিল মালদহের হবিবপুর বিধানসভা কেন্দ্র। হবিবপুর এবং বামনগোলা ব্লক নিয়ে গঠিত ওই বিধানসভা কেন্দ্র। ১৯৭২ সাল থেকে হবিবপুর বিধানসভা কেন্দ্র বামেদের দখলে রয়েছে। এ ছাড়া দুটি পঞ্চায়েত সমিতিও দীর্ঘ দশক ধরে ছিল বামেদের দখলে। এমনকি, ২০১১ সালের রাজ্যের পরিবর্তন ঝড়েও অব্যাহত ছিল বাম দুর্গ। ২০১৬ সালেও হবিবপুর বিধানসভায় জয়ী হন সিপিএম প্রার্থী খগেন। তবে পঞ্চায়েত ভোটেই আলগা হয়ে যায় হবিবপুর বিধানসভায় বামেদের শক্ত মাটি। ওই বিধানসভা কেন্দ্রে পাঁচটি জেলা পরিষদের আসন রয়েছে। আর সবকটি আসনেই জয়ী হয় বিজেপি। এমনকী, দুটি পঞ্চায়েত সমিতি এবং অধিকাংশ গ্রামপঞ্চায়েত বিজেপি একক ভাবে দখল করে। আর হবিবপুরে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে তৃণমূল। এমন অবস্থায় সিপিএম ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন খগেন। তিনি এ বারের উত্তর মালদহের বিজেপির প্রার্থী হয়েছিলেন। খগেন জেলা পরিষদের সহকারী সভাধিপতিও ছিলেন। ফলে হবিবপুরে বামেরা আরও কোণঠাসা বলেই মত অন্য দলগুলোর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy