শিলিগুড়ি-সেবক ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কে। সারাইয়ের কাজ করছেন পি ডব্লিউ ডি কর্মিরা। ছবি: স্বরূপ সরকার
সেবকের পাহাড়ি পথে একাধিক ধসে ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কে দীর্ঘক্ষণ যান চলাচল বন্ধ থাকল। বুধবার সকাল থেকে করোনেশন সেতু লাগোয়া সেবকেশ্বরী কালী মন্দিরের কাছে ধস নামে। রুদ্ধ হয়ে পরে শিলিগুড়িতে থেকে ডুয়ার্স, সিকিম এবং কালিম্পঙের যান চলাচল। দুপুরের পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছে।
করোনা আবহে ট্রেন যেহেতু বন্ধ তাই সড়ক পথই শিলিগুড়ির সঙ্গে যাতায়াতের একমাত্র উপায়। সেই পথও বন্ধ হওয়ায় সমস্যায় পড়েন বহু যাত্রী। গজলডোবার বিকল্প পথে সম্প্রতি বড় গাড়ির গতিবিধি বন্ধ করতে উঁচু লোহার স্তম্ভ লাগানো হয়েছে। এতে আরও ঘুরে কাঠামবাড়ি ক্যানাল রোড দিয়ে গজলডোবা তিস্তা ব্যারাজ হয়ে ঘুর পথে যাতায়াত চলে। বুধবার দুপুর দু’টোর পর ফের যান চলাচল শুরু হয়। মাঝেমধ্যে বৃষ্টিতে রাস্তার পরিস্থিতি বিপজ্জনক রয়েছে।
সকালে সেবকের সঙ্গে সিকিমে ঢোকার পর ১০ নম্বর জাতীয় সড়কে ধস নামে। সেখানেও গাড়ির লম্বা লাইন পড়ে যায়। ধস সরাতে বেলা গড়ায় ১০ নম্বর জাতীয় সড়কের গাইধারায়। পানিঘাটা-দুধিয়ার রাজ্য সড়কেও রাস্তা থেকেও বড় মাপের ধস নামার খবর আসে। বিকেলের পর ৩১ নম্বর, ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক স্বাভাবিক হলেও দুধিয়ার রাস্তা বন্ধ রয়েছে। দার্জিলিং জেলা প্রশাসনের এক কর্তা জানান, ধস সারাইয়ের কাজ চলছে। বড় এলাকা জুড়ে দুধিয়াতে পাথর, মাটি নেমে আসায় সময় লাগছে। প্রশাসনের তরফে চালকদের সাবধানে পাহাড়ি এলাকায় চলাচলের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। মালবাজারের মহকুমাশাসক শান্তনু বালা বলেন, ‘‘সেবকের বিকল্প পথগুলি দ্রুত সংস্কার করতে পূর্ত ও পুলিশের সঙ্গে কথা বলছি।’’
প্রশাসনিক সূত্রের খবর, গত কয়েকদিন ধরেই দার্জিলিং, কালিম্পং এবং সিকিমের বিভিন্ন প্রান্তে কমবেশি ভারী থেকে মাঝারি বৃষ্টি চলছে। সমতলেও প্রায় দিনই রাতে ভারী বৃষ্টি হচ্ছে। গত মঙ্গলবার রাত থেকেও বৃষ্টি শুরু হয়। ভোর পর্যন্ত বৃষ্টি চলে। এতেই পাহাড়ি এলাকায় উঁচু থেকে মাটি, কাদার সঙ্গে পাথর নেমে আসে। তিনটি এলাকায় বড় মাপের ধস নেমে রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়। আবার ১০ নম্বর জাতীয় সড়কের অন্তত পাঁচ জায়গায় ছোট ছোট ধস নামে। তবে সেগুলির জেরে গাড়ি বন্ধ হয়নি। আবার ওই জাতীয় সড়কের ধস প্রবণ ২৯ মাইল এলাকায় বিশেষ নজরদারি শুরু হয়েছে। পূর্ত দফতরের তরফে আগাম আশঙ্কা করে এলাকায় সরঞ্জাম মজুত রাখা হয়েছে।
ধসের জেরে এ দিন শিলিগুড়ি থেকে সিকিম, কালিম্পং তো বটেই ডুয়ার্সে যাওয়ার গাড়ি লাইন পড়ে। কালিম্পঙের বাসিন্দা সোনাম ভুটিয়া মঙ্গলবার শিলিগুড়ি থেকে ফিরতে গিয়ে কয়েক ঘণ্টা আটকে পড়েন। মালবাজারে যাচ্ছিলেন শিলিগুড়ির ব্যবসায়ী বাপি সেন। ৪ ঘণ্টা যানজটে পড়েন। অনেকেরই দাবি, কেন্দ্র ও রাজ্যকে অবিলম্বে সেবকে করোনেশনের প্রস্তাবিত বিকল্প সেতুর কাজ শুরু করা দরকার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy