প্রতীকী ছবি।
করোনা সংক্রমণের পরিস্থিতিতেও প্রতিদিন ভিন্ রাজ্যের গাড়ি থেকে মালপত্র নামাতে হয়। ঘেঁষাঘেষি করেই চলে কাজ। কিন্তু বারবার বলেও প্রয়োজনীয় মাস্ক, স্যানিটাইজ়ার ও দস্তানা জোটেনি বলে অভিযোগ। সেই কারণে কাজ বন্ধের হুঁশিয়ারি দিলেন শিলিগুড়ি রেগুলেটেড মার্কেটের শ্রমিকরা। সোমবার তাঁরা মার্কেটের ব্যবসায়ী সমিতিকে লিখিতভাবে জানান যে সকাল ১০টার পর থেকে তাঁরা আর কোনও কাজ করবেন না।
শ্রমিক সংগঠনের পক্ষ থেকে পবন কুমার শা বলেন, ‘‘করোনার সময় শ্রমিকদের অবহেলার চোখে দেখা হচ্ছে। মাস্ক, স্যানিটাইজ়ার, দস্তানা ছাড়া কাজ করতে ভয় থাকে। আমরা সেসব জিনিস না পেলে কাজ বন্ধের পথে হাঁটতে বাধ্য হব।’’ শিলিগুড়ি রেগুলেটেড মার্কেটে প্রতিদিন ভিন্ রাজ্য থেকে কমবেশি দেড়শো গাড়ি ঢোকে। সেই গাড়িগুলির কোনওটাই স্যানিটাইজ় করে মার্কেটে ঢোকানো হয় না বলে অভিযোগ। এই গাড়িগুলি থেকেই শ্রমিকরা মালপত্র নামিয়ে বিভিন্ন গদি বা দোকানে পৌঁছে দেন।
সকাল ১০টার পরে শ্রমিকরা কাজ না করলে গাড়ি থেকে মালপত্র নামিয়ে দোকানে পৌঁছনো সম্ভব হবে না বলে জানাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। সেক্ষেত্রে বাজারের কেনা-বেচা বন্ধ হয়ে যাবে বলে তাঁদের আশঙ্কা। রেগুলেটেড মার্কেট ট্রেডার্স ইউনাইটেড ফোরামের সম্পাদক তপন সাহা বলেন, ‘‘আমরা শ্রমিকদের দাবিগুলি মেনে নিয়েছি। তাঁদের মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজ়ার দেওয়া হবে। গাড়িগুলি স্যানিটাইজ় করে বাজারে ঢোকানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে।’’
প্রশাসন ২০ এপ্রিল থেকে বেশ কিছু কাজে ছাড় দিয়েছে। তাই মার্কেটের সব বাজারেই ভিড় হতে পারে বলে মনে করছেন শ্রমিকরা। রেগুলেটেড মার্কেটে কয়েকশো গদি রয়েছে। সব মিলিয়ে দেড় হাজারের বেশি শ্রমিক কাজ করেন। করোনা সংক্রমণের আবহে সুরক্ষা সরঞ্জাম না নিয়ে কাজ করলে সংক্রমিত হয়ে যাবেন বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন শ্রমিকদের একটি বড় অংশ। সেই কারণেই দীর্ঘ দিন ধরে মাস্ক, স্যানিটাইজ়ারের দাবি তাঁরা জানিয়ে আসছেন বলে জানান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy