কোচবিহারে বিমানবন্দর উদ্বোধন করলেন বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক। — নিজস্ব চিত্র।
কলকাতা আর কোচবিহার এখন আরও কাছে। মঙ্গলবার থেকে শুরু হল কোচবিহার-কলকাতা বিমান পরিষেবা। কোচবিহার থেকে কলকাতাগামী বিমানের উদ্বোধন করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক। তা নিয়েই ফের শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপান-উতোর। উদ্বোধনের পর নিশীথ রাজ্য সরকারের সহযোগিতার কথা মেনে নেন। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিষয়টিকে ভাল চোখে দেখেননি। তিনি জানিয়েছেন, বিমানবন্দর করে দিয়েছে রাজ্য সরকার। অথচ কৃতিত্ব নিচ্ছে বিজেপি।
মঙ্গলবার দুপুরে কলকাতা থেকে বিজেপির পাঁচ জন বিধায়ককে নিয়ে কোচবিহারে আসে নয় আসনের বিমানটি। পাঁচ জন বিধায়কই কোচবিহারের। বিমানটি কোচবিহার থেকে কলকাতা, কলকাতা থেকে জামশেদপুর এবং জামশেদপুর থেকে ভুবনেশ্বর রুটে চলবে। এই পরিষেবা চালু হওয়ায় খুশি কোচবিহারের সাধারণ মানুষ। বিশেষ কিছু আসনের ভাড়া ৯০ দিন পর্যন্ত ৯৯৯ টাকার থাকবে। আগামী দিনে যাত্রী ভাড়াতেও কেন্দ্রীয় সরকারের ভর্তুকি থাকবে। এই পরিষেবার কারণে সুবিধা হবে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের।
নিশীথ বিমান পরিষেবার উদ্বোধন করে বলেন, ‘‘রাজ্য সরকারের সহযোগিতায় কেন্দ্রীয় সরকারের উড়ান প্রকল্পের মাধ্যমে এই বিমান পরিষেবা শুরু হল। বর্তমানে নয় আসনের বিমান দিয়ে এই পরিষেবা চলবে। আগামী দিনে যাতে বেশি আসনের বিমান এবং বেশি সংখ্যক বিমান পরিষেবা চালু করা যায়, সেই বিষয়ে পরিকল্পনা করা হচ্ছে।’’ বিষয়টি রাজনীতিকে তিনি বাদ রাখার কথা বলেছেন। তাঁর কথায়, ‘‘কোচবিহারের মানুষের জন্য এই বিমান পরিষেবা চালু করা হচ্ছে। তাই এর মধ্যে রাজনৈতিক বিতর্ক না এনে সকলকে একত্রিত হয়ে কাজ করতে হবে।’’
এই বিমান পরিষেবা নিয়ে বিজেপিকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি মুখ্যমন্ত্রী মমতা। তিনি শিলিগুড়িতে একটি অনুষ্ঠানে বিজেপিকে আক্রমণ করে বলেন, ‘‘কোচবিহার বিমানবন্দর করে দিলাম আমরা। ওখানে সেচের নালা ছিল। ২৫০-৩০০ কোটি টাকা খরচ করে তার কাজ করা হয়েছে। মঙ্গলবার ফ্ল্যাগ তুলে বিজেপির বিধায়কেরা তাতে ঘুরে বাই বাই করছেন।’’
এত কম আসনের বিমান কেন চালানো হচ্ছে এই রুটে, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন মমতা। তিনি বলেন, ‘‘ন’জন করে যাতায়াত করতে পারবেন। এর কি ভ্যালু আছে? মালদহে আমরা এয়ারপোর্ট করে দিয়েছি। কোচবিহার এয়ারপোর্ট আমরা আরও বড় করছি। যাতে বড় ফ্লাইট নামতে পারে, যাতে অনেক মানুষ নামতে পারেন। করব আমরা আর ঝান্ডা নাড়বে ওরা। যদি মানুষ বিপদে পড়ে তা হলে আমি কিন্তু ছেড়ে কথা বলব না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy