কালিয়াগঞ্জে আটকে কলকাতা-রাধিকারপুর এক্সপ্রেস। — নিজস্ব চিত্র।
উত্তরবঙ্গে আবারও সিগন্যাল বিভ্রাটের কারণে ব্যাহত ট্রেন পরিষেবা। প্রায় ঘণ্টাখানেক উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জ স্টেশনে আপ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকল রাধিকাপুর এক্সপ্রেস। চালকের তৎপরতায় এড়ানো গেল বড়সড় বিপদ। এই ঘটনার জেরে মঙ্গলবার সকালে ভোগান্তির শিকার যাত্রীরা।
জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সকাল ৬টা নাগাদ ১৩১৪৫ কলকাতা-রাধিকাপুর এক্সপ্রেস কালিয়াগঞ্জ স্টেশনে ঢোকে। তার পর স্টেশন ছেড়ে যাওয়ার মুখেই সিগন্যাল বিভ্রাটের কবলে পড়ে ট্রেনটি। সবুজ সিগন্যাল দেখে চালক ট্রেন চালানো সবে শুরু করেছিলেন। আচমকাই সবুজ সিগন্যাল লাল হয়ে যায়। তৎক্ষণাৎ ট্রেন থামিয়ে দেন চালক। ট্রেনের গতি কম থাকায় কোনও বড়সড় বিপদ ঘটেনি।
সিগন্যাল বিভ্রাটের কারণে কালিয়াগঞ্জ রেল স্টেশন সংলগ্ন সুকান্ত মোড়ের রেল গেটের উপর এক ঘণ্টার বেশি সময় দাঁড়িয়ে পড়ে কলকাতা-রাধিকাপুর এক্সপ্রেস। সেই কারণে ওই লাইনে ট্রেন চলাচল ব্যাহত হয়। কালিয়াগঞ্জ স্টেশনে দাঁড়িয়ে পড়ে রাধিকাপুর-শিলিগুড়ি প্যাসেঞ্জার। পরে ম্যানুয়াল সিগন্যালের মাধ্যমে ওই লাইনে ট্রেন চলাচল শুরু হয়।
রেল সূত্রের খবর, সিগন্যাল সমস্যা নজরে আসতেই কাটিহার ডিভিশনে খবর দেওয়া হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন রেলের ইঞ্জিনিয়ারেরা। ওই সিগন্যাল মেরামতির কাজ শুরু করেন তাঁরা। সিগন্যাল বিভ্রাটের কারণে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন যাত্রীরা। প্রথম অবস্থায় কেউই বুঝতে পারেননি কী ঘটেছে। কেউ বলেন ইঞ্জিনে যান্ত্রিক ত্রুটি, তো কেউ আবার বিদ্যুৎ বিভ্রাট বলেও মত প্রকাশ করেন। পরে সিগন্যাল সমস্যার কথা জেনে কিছুটা আশ্বস্ত হন যাত্রীরা। তবে প্রায়ই ট্রেন বিভ্রাট বা রেল দুর্ঘটনা নিয়ে ক্ষোভ দেখা গেল তাঁদের মধ্যে। যাত্রী সুরক্ষা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে। অনেকের মুখেই কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার কথা। সেই দুর্ঘটনার নেপথ্যে সিগন্যাল বিভ্রাটই ছিল অন্যতম কারণ। ওই দুর্ঘটনায় ১০ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy