বিতর্কিত পোস্টার। নিজস্ব চিত্র।
চোপড়া বিধানসভার মাঝিয়ালি গ্রাম পঞ্চায়েতের বেশ কিছু এলাকায় কেএলও নাম করে পোস্টারকে ঘিরে বিতর্ক দানা বেঁধেছে। তবে কে বা কারা এই পোস্টার লাগিয়েছে তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চর্চা তুঙ্গে। তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, এলাকায় কেএলওর কোনও সংগঠন নেই। বিজেপি শুধুমাত্র রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে ও রাজ্য ভাগ করার পরিকল্পনার ইস্যু করতেই কাজ করেছে। বিজেপির অবশ্য তা মানতে নারাজ। যদি পুলিশ সুপার সচিন মাক্কারকে এই বিষয়ে ফোন করা হলেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। হোয়াটসঅ্যাপ এ মেসেজ করা হলেও উত্তর মেলেনি।
এ দিন চোপড়ার মাঝিয়ালি গ্রামপঞ্চায়েতের একটি সেতু সংলগ্ন বাস স্ট্যান্ড, স্কুল সংলগ্ন বাস ষ্ট্যান্ডে সাদা কাগজে প্রিন্ট করে লেখা পোস্টার নজর পড়ে এলাকার বাসিন্দাদের। সেই পোস্টারে লেখা, ‘চোপড়ার ভূমিপুত্র রাজবংশীলার উপরত যদি টিএমসি উত্তাচার বন্ধ না হয় তাহলে হামরা আছি (কেলও)।’ অর্থাৎ, তারা পোষ্টারটিতে লিখেছে, ‘চোপড়ার ভূমিপুত্র রাজবংশীদের উপর যদি তৃণমূলের অত্যাচার বন্ধ না হয় তাহলে ব্যবস্থা নেবে।’
কিন্তু কে পোস্টারগুলি লাগিয়েছে তা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয় চোপড়াতে। তৃণমূলের দাবি, তা বিজেপির চক্রান্ত। চোপড়ার তৃণমূলের ব্লক সভাপতি প্রীতিরঞ্জন ঘোষ (নাথু) বলেন, ‘‘এই এলাকাতে কেএলও এর সংগঠন নেই। যারা কেএলও এর লিঙ্কম্যান ছিল তারা অনেকেরই চাকরি পেয়েছেন। বাকিদের চাকরির জন্য তালিকা পাঠানো হয়েছে। পোস্টার বিজেপি লাগিয়েছে। এলাকার তৃণমূলের বিধায়ক হামিদুল রহমান বলেন, ‘‘কে বা কারা করেছে কিছু নাম লেখেনি। তবে এইসব বিজেপির চক্রান্ত। যেহেতু রাজ্য ভাগের চেষ্টা করছে তারা। সে কারণে এমন পোষ্টার দিয়ে একটা বিতর্ক তৈরি করেছে। যদিও বিজেপি তা মানতে নারাজ। বিজেপির উত্তর দিনাজপুর জেলার সাধারণ সম্পাদক তথা চোপড়ার বিজেপি নেতা সুবোধ সরকার বলেন, ‘‘চোপড়ায় নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর থেকে আমাদের লোকজন তো বাড়ি থেকে বের হতে পারছে না ওরা এসব করতে যাবে কেন। সুবোধ আরও বলেন, ‘‘কে বা কারা করেছে তা বলতে পারব না। তবে চোপড়ায় শুধু রাজবংশী সম্প্রদায় নয় সমস্ত সম্প্রদায়ের মানুষ অত্যাচারিত।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy