সওয়ার: বাবুলের মাথায় হেলমেট। সঙ্গীদের মাথা ফাঁকাই। রবিবার কালিয়াগঞ্জের প্রচারে। ছবি: চিরঞ্জীব দাস
এনআরসি প্রসঙ্গে তৃণমূলনেত্রীকে বিঁধলেন বাবুল সুপ্রিয়। রবিবার কালিয়াগঞ্জে বিজেপির নির্বাচনী প্রচারসভায় তিনি বলেন, ‘‘বামফ্রন্ট সরকারের আমলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই এ রাজ্যে থেকে অনুপ্রবেশকারীদের বাংলাদেশে পাঠানোর দাবি তুলেছিলেন। আজ তিনি ও তাঁর দলের নেতারা কালিয়াগঞ্জে ভোটে জেতার স্বার্থে এনআরসি নিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছেন।’’
কালিয়াগঞ্জ বিধানসভা উপনির্বাচনের আগে এ দিনই ছিল শেষ রবিবার। তবে ছুটির দিনে বাবুল সুপ্রিয় ছাড়া কোনও দলেরই ‘হেভিওয়েট’ কোনও নেতাকে এ দিন সেখানে প্রচারে দেখা যায়নি। প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সির ‘কর্মভূমি’তে কংগ্রেসের প্রচারে আজও ছিলেন না দীপা দাশমুন্সি। কংগ্রেস সূত্রে খবর, ২০ নভেম্বরের পরে দলের প্রচারে শামিল হবেন দীপা। তবে ছুটির দিনে সকাল থেকে অনন্তপুর, ভাণ্ডার গ্রাম পঞ্চায়েতের বিভিন্ন এলাকায় কর্মিসভা করেছেন কংগ্রেস প্রার্থী ধীতশ্রী রায়। অন্য দিকে তৃণমূলের প্রচারে এ দিন বোচাডাঙা, মালগাঁও গ্রাম পঞ্চায়েতে ঘোরেন গোলাম রব্বানি। ধনকৈলে প্রচার করেন করণদিঘির বিধায়র মনোদেব সিংহ।
এ দিনের সভায় অযোধ্যায় রামমন্দিরের প্রসঙ্গেও মমতাকে নিশানা করেন বাবুল। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কথায়, ‘‘অযোধ্যা মামলার রায় ঘোষণার পরে রামমন্দির নিয়ে চুপ করে রয়েছেন মমতা। পক্ষে বা বিপক্ষে কিছুই বলছেন না। আসলে তিনি ভোটব্যাঙ্ক ধরে রাখতে সবাইকে বোকা বানিয়ে রাজনীতি করছেন।’’ এ নিয়ে কালিয়াগঞ্জের তৃণমূল পর্যবেক্ষক তথা রাজ্যের মন্ত্রী গোলাম রব্বানির মন্তব্য, ‘‘কালিয়াগঞ্জের বাসিন্দারা এনআরসি রুখতে উপনির্বাচনে তৃণমূলকে জয়ী করার শপথ নিয়েছেন। বিজেপি সেটা বুঝতে পেরেই তৃণমূল ও তৃণমূলনেত্রীর বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে।’’ বাবুলের সভায় ভি়ড় হয় বলেও তাঁর দাবি।
বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন হেমতাবাদ থেকে দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে মোটরবাইকে কালিয়াগঞ্জের সভায় যান বাবুল। নিজেই মোটরবাইক চালান। সভার আগে রায়গঞ্জের একটি হোটেলে দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে এক বৈঠকে তিনি বলেন, ‘‘উপনির্বাচনে তৃণমূল পুলিশ-প্রশাসনকে সঙ্গে নিয়ে সন্ত্রাস করে ভোটে জেতার চেষ্টা করবে। সতর্ক থাকতে হবে সবাইকে।’’
কালিয়াগঞ্জে উপনির্বাচনের প্রচারের ফাঁকে বাবুল বলেন, ‘‘রাজ্যপালকে কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে না। তাঁকে তৃণমূল সব ক্ষেত্রে বাধা দিচ্ছে। কোনও কিছু লুকোতেই রাজ্যপালকে বাধা দেওয়া হচ্ছে। রাজ্যপাল সংবিধানের মধ্যে থেকেই কাজ করছেন। মারপিট, গণ্ডগোল করে কিছু হয় না। এগুলো না করে বিতর্কে আসুন। তৃণমূল বিতর্কে ভয় পায়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy