ফাইল ছবি।
কলকাতা হাই কোর্টের পর জলপাইগুড়িতে হাই কোর্টের সার্কিট বেঞ্চ। এক শিক্ষিকার ঘন ঘন বদলি নিয়ে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। দু’বছরের মধ্যে এক শিক্ষিকার একাধিক বার বদলির ঘটনায় এই নির্দেশ দেন তিনি। প্রসঙ্গত, রাজ্যে এক ডজন মামলায় ইতিমধ্যেই তদন্ত করছে সিবিআই। এ বার জলপাইগুড়িতে মামলা শুনতে গিয়েও সিবিআই তদন্তের নির্দেশ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের।
শিলিগুড়ির শ্রীগুরু বিদ্যামন্দির হাই স্কুলের শিক্ষিকা শান্তা মণ্ডল ২০১৯-য়ে বীরপাড়া গার্লস হাই স্কুলে প্রধান শিক্ষিকা পদে নিয়োগপত্র পান। স্কুলে যোগ দেওয়ার এক বছরেরও কম সময়ের মধ্যে শান্তা আবার বদলির জন্য রাজ্যের শিক্ষা দফতরে আবেদন করেন। আবেদন মঞ্জুর করে মধ্যশিক্ষা পর্যদ ২০২০-এর ২২ ডিসেম্বর তাঁকে শিলিগুড়ির অমিয় গোপাল চৌধুরী স্মৃতি বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষিকা পদের নিয়োগপত্র পাঠিয়ে দেয়। কিন্তু শান্তা ওই স্কুলে যোগ দেননি। তিনি আবার শিক্ষা দফতরে বদলির আবেদন জানান এবং তা মঞ্জুরও হয়। এ বার বীরপাড়া গার্লস থেকে শান্তা শিলিগুড়ি শ্রীগুরু বিদ্যামন্দির হাই স্কুলে প্রধান শিক্ষিকা পদে নিয়োগপত্র পান।
বদলি প্রক্রিয়ার বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন শিলিগুড়ি শ্রীগুরু বিদ্যামন্দির হাই স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক প্রসুনসুন্দর তরফদার। বৃহস্পতিবার মামলাটি জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে ওঠে।
মামলাকারীর আইনজীবী এক্রামুল বারির যুক্তি, রাজ্য সরকারের আইন অনুযায়ী কোনও শিক্ষককে ‘উৎসশ্রী’ প্রকল্পের আওতায় অন্য স্কুলে বদলির আবেদন করতে হলে, টানা পাঁচ বছর কোনও স্কুলে চাকরি করতে হয়। অথচ শান্তা মণ্ডল দু’বছরের মধ্যেই এত বার বদলি হলেন কী ভাবে! তাঁর ক্ষেত্রে কী আইন লাগু হয়নি? এক্রামুল দাবি করেন, এই সংক্রান্ত অন্য মামলায় আদালতের পর্যবেক্ষণে উঠে এসেছে, অনেক শিক্ষককে অসুস্থতা সত্ত্বেও বদলি করা হয়নি। তাঁরা বার বার আবেদন করেও কাজ হয়নি। আবার শান্তার মতো কেউ অনায়াসে বদলি হয়ে যান। এর পিছনে কোন ‘চক্র’ কাজ করছে তা তদন্ত করে দেখা প্রয়োজন, বলে মনে করেন এক্রামুল।
এর পর শিলিগুড়ির শ্রীগুরু বিদ্যামন্দির হাই স্কুলে শান্তার নিয়োগপত্র বাতিল করে বিচারপতি নির্দেশ দেন, শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার মধ্যে বীরপাড়া গার্লস হাই স্কুলে প্রধান শিক্ষিকা পদে যোগ দিতে হবে। বিচারপতি অবিলম্বে সিবিআইকে শান্তার নিয়োগের ব্যাপারে তদন্ত করে রিপোর্ট জমা দিতে বলেছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy