প্রশ্নের মুখে: বাড়ি প্রসঙ্গে দৃশ্যত অস্বস্তিতে সাংসদ জন বার্লা, জবাব দিচ্ছেন প্রশ্নের। মঙ্গলবার। নিজস্ব চিত্র।
বেহাল রাস্তা পরিদর্শন করতে গিয়ে নিজের ‘বিলাসবহুল’ বাড়ি নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়লেন সাংসদ জন বার্লা। বছরের পর বছর ধরে স্টেশন সংলগ্ন রাস্তা রেলের তরফে কেন সংস্কার করা হচ্ছে না, সেই প্রশ্নে স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের ক্ষোভের মুখে পড়তে হয় বিজেপি সাংসদকে। রাস্তাটি সংস্কার না হলে প্রয়োজনে তিনি নিজে আন্দোলনে নামবেন বলে বাসিন্দাদের আশ্বাস দেন বার্লা।
সোমবার, নিউ আলিপুরদুয়ার স্টেশনে যাতায়াতকারী একমাত্র রাস্তাটি পরিদর্শনে করতে যান সাংসদ। অভিযোগ, গত কয়েক বছর ধরে রাস্তাটি খানাখন্দে ভরে গিয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, বহুবার, রেল কর্তাদের কাছে রাস্তাটি সংস্কার করার দাবি করা হলেও, কোনও কাজ হয়নি। রাস্তা সংস্কারের ব্যাপারে বিজেপি নেতারা বারবার শুধু আশ্বাসই দিয়েছেন বলে অভিযোগ তাঁদের।
সাংসদ এ দিন জানান, রাস্তাটি সংস্কার করাতে ইতিমধ্যেই তিনি রেলমন্ত্রী ও রেলের কর্তাদের অনুরোধ করেছেন। সাংসদ বলেন, “খুব শীঘ্রই রাস্তার সংস্কার নিয়ে আলিপুরদুয়ারের রেল কর্তাদের সঙ্গে দেখা করব। দ্রুত রাস্তা সংস্কার না হলে আমি নিজে আন্দোলনে নামব।’’
এখানেই শেষ নয়। দিন কয়েক আগেই বার্লার ‘বিলাসবহুল’ বাড়ি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়া গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা। এ দিন নিজেকে আইএনটিটিইউসি-র নেতা বলে পরিচয় দিয়ে দেবেশ কুণ্ডু সাংসদকে প্রশ্ন করেন, “আমাদের রাস্তা তৈরি হচ্ছে না। আর আপনি বিশাল বাড়ি বানাচ্ছেন কী করে?” এমন প্রশ্নে অস্বস্তিতে পড়ে যান সাংসদ-সহ তাঁর সঙ্গে থাকা অন্যরা। সাংসদ তাঁকে বলেন, “আমি বাগানের কোয়ার্টারেই থাকি। আমার নিরাপত্তারক্ষী ও সন্ত্রাসের কারণে ঘরছাড়াদের আশ্রয় দিতেই বাড়ি বানিয়েছি।”
তৃণমূল জেলা সভাপতি মৃদুল গোস্বামী বলেন, “সাংসদ নাটকবাজি করছেন। নিজের কাজ না করে বিচ্ছিন্নতাবাদকে উস্কানি দিয়েছেন। তাই মানুষের রোষের মুখে পড়েছেন।” উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক শুভানন চন্দ বলেন, “করোনা পরিস্থিতির জন্য দেরি হচ্ছে। দ্রুত রাস্তাটির সংস্কার হবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy