Advertisement
২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
Russia Ukraine War

Ukraine-Russia Conflict: ইউক্রেন থেকে হেঁটে পোল্যান্ড যাচ্ছে ছেলে! ফোন পেয়ে স্বস্তিতে বাবা, তবু চিন্তায় মা

ইউক্রেনের খারকিভ ন্যাশনাল মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ডাক্তারি পড়তে গিয়েছিলেন আশিস বিশ্বাস। চতুর্থ বর্ষের ছাত্র তিনি।

বিগত ছ’দিন ধরে যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনের খারকিভ শহরের একটি বাঙ্কারে আটকে থাকার পর সুযোগ পেতেই হেঁটে পশ্চিমের পোল্যান্ডে পাড়ি দিয়েছেন ছেলে।

বিগত ছ’দিন ধরে যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনের খারকিভ শহরের একটি বাঙ্কারে আটকে থাকার পর সুযোগ পেতেই হেঁটে পশ্চিমের পোল্যান্ডে পাড়ি দিয়েছেন ছেলে।

নিজস্ব সংবাদদাতা
ধূপগুড়ি শেষ আপডেট: ০৩ মার্চ ২০২২ ১৯:৪৪
Share: Save:

বিগত ছ’দিন ধরে যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনের খারকিভ শহরের একটি বাঙ্কারে আটকে থাকার পর সুযোগ পেতেই হেঁটে পশ্চিমের পড়শি দেশ পোল্যান্ডে পাড়ি দিয়েছেন ছেলে। তাঁর সঙ্গে ফোনে কথা বলার পর খানিক স্বস্তিতে জলপাইগুড়ির বিশ্বাস পরিবার। তবু ছেলে ঘরে না-ফেরা পর্যন্ত কাটছে না দুশ্চিন্তা। কথা বলতে বলতেই কেঁদে ফেললেন মা রেখা বিশ্বাস।

ইউক্রেনের খারকিভ ন্যাশনাল মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ডাক্তারি পড়তে গিয়েছিলেন আশিস বিশ্বাস। চতুর্থ বর্ষের ছাত্র তিনি। ডাক্তারির কোর্স শেষ হতে আর কিছু দিন বাকি ছিল। তার মধ্যেই ইউক্রেনে হামলা চালাল রুশ-বাহিনী। ঘটনাচক্রে, সেনা অভিযানের শুরু থেকেই ইউক্রেনের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর খারকিভে অবিরাম হামলা চালিয়ে যাচ্ছে রাশিয়ার সেনা। যুদ্ধ-পরিস্থিতির আবহে বোমা হামলা থেকে বাঁচতেই ঠান্ডা যুদ্ধের সময় তৈরি হওয়ায় বাঙ্কারে আশ্রয় নিয়েছিলেন আশিস।

যুদ্ধের কারণে আকাশপথ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বাধাপ্রাপ্ত হয় ইউক্রেনে আটকে পড়া ভারতীয় পড়ুয়াদের উদ্ধারের কাজ। এই পরিস্থিতিতে আটকে পড়া পড়ুয়াদের যত দ্রুত সম্ভব ইউক্রেনের পড়শি দেশগুলিতে চলে ‌যেতে বলা হয় দেশের কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে। আর তাই করতে গিয়েই বহু পড়ুয়া জানান, অত্যধিক ভিড় এবং ইউক্রেনীয়রা অগ্রাধিকার পাওয়ায় ট্রেনে-বাসে উঠতেই পারছেন না তাঁরা। এই সমস্যায় পড়েন আশিসও।

বাধ্য হয়ে তাই আশিসকেও হেঁটে মাইলের পর মাইল পাড়ি দিয়ে খারকিভের পশ্চিমে পোল্যান্ডে পৌঁছতে হচ্ছে। পথেই বাবা বাবুল বিশ্বাসকে ফোন করেন আশিস। বাবুল বলেন, ‘‘ছেলে ফোন করেছিল। আর কিছু ক্ষণের মধ্যেই ও পোল্যান্ড পৌঁছবে। কিন্তু খুব কষ্ট করে কথা বলতে হচ্ছে। মোবাইলের টাওয়ারও পাওয়া যাচ্ছে না ঠিক মতো। ওক খবর পাওয়ার পর এখন কিছুটা স্বস্তিতে আমরা। কিন্তু পুরোপুরি চিন্তামুক্ত হতে পারছি না।’’

মা রেখার বক্তব্য, ‘‘ছেলে ঘরে না-ফেরা পর্যন্ত দুশ্চিন্তা কাটছে না আমাদের। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ফিরে আসুক ও। শুনলাম পোল্যান্ডে পৌঁছলে ছেলে বাড়ি ফিরতে পারবে। ওখানেই নাকি বিমান পাঠিয়ে আটকে পড়া পড়ুয়াদের উদ্ধার করা হচ্ছে। এই উদ্যোগের জন্য কেন্দ্র ও রাজ্যকে আগাম ধন্যবাদ।’’

অন্য বিষয়গুলি:

Russia Ukraine War
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy