জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূল সভাপতি মহুয়া গোপ। ছবি: টুইটার।
সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া লেটারহেড কাগজ (আনন্দবাজার সত্যতা যাচাই করেনি) সম্পূর্ণ ভুয়ো দাবি করে বিরোধীদের পাল্টা নিশানা করলেন জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূল সভাপতি মহুয়া গোপ। জেলা সভাপতির দাবি, “জেলার মানুষ জানে, মহুয়া গোপ কোনওদিন অনিয়মকে প্রশ্রয় দেয়নি। বিরোধী নেতাদের চ্যালেঞ্জ করছি, আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ করুন। বিরোধীদের বিরুদ্ধে আমি মুখ খুলতে পারি। কিন্তু নিম্নমানের রাজনীতি আমি চাই না।”
মহুয়ার দাবি, ষড়যন্ত্র করেই তাঁর নামে ভুয়ো চিঠি ছড়ানো হয়েছে। ২০১৬ সালের অক্টোবরে লেখা ক্রান্তি ব্লক তৃণমূলের একটি লেটারহেড সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। সেই লেটারহেডে তিনজনের নাম এবং রোল নম্বর লেখা দেখা যাচ্ছে। নীচে ব্লক সভাপতির সিল রয়েছে এবং মহুয়া গোপের নামে একটি সই রয়েছে। মহুয়ার দাবি, এর সম্পর্কে কিছুই জানা নেই তাঁর। তিনি বলেন, “আমি ভাবতেও পারি না, কতটা নিচু মানের রাজনীতি করলে এ সব ছড়ানো হয়।”
তৃণমূলের তরফে পাল্টা প্রশ্ন তোলা হয়েছে বিজেপির জেলা নেতাদের একাংশের সম্পত্তি নিয়ে। তৃণমূলের এক শীর্ষ নেতা বলেন, “বিজেপি শুধু তৃণমূল নেতাদের দিকে আঙুল তোলে। কিন্তু গত কয়েক বছরে জেলা বিজেপির এক নেতা কত টাকার মালিক হয়েছেন তা দেখা হোক। বিলাসবহুল বাড়ি তৈরি করেছেন, অথচ তিনি কী কাজ করেন তা কেউ জানে না।”
তৃণমূলের তরফে দাবি করা হয়েছে, যে লেটারহেড প্যাড দেখিয়ে বিরোধীরা অভিযোগ করছে তার সঙ্গে প্রথমত বাস্তবের যোগ নেই। দ্বিতীয়ত, ওই প্যাডের কাগজে প্রমাণ হয় না যে কোনও সুপারিশ বা অনিয়ম হয়েছে। তৃণমূলের দাবি, প্যাডের মধ্যে কারও নাম রোল নম্বর লেখাই থাকতে পারে। প্যাডের ওপরে কারও নাম লেখা নেই, অর্থাৎ কাকে পাঠানো হয়েছে তার উল্লেখ নেই। জেলা তৃণমূলের এক নেতার কথায়, “তা হলে এই প্যাডের কাগজকে সুপারিশ চিঠি বলা হচ্ছে কেন?”
২০১৬ সালে সেই রকম লেটারহেড ক্রান্তি ব্লক ব্যবহার করত কিনা তা নিয়েও সংশয়ে রয়েছে তৃণমূলের একাংশ। তৃণমূলের দাবি, বিরোধীরা ভুয়ো কাগজ দেখিয়ে মিথ্যে অভিযোগ তুলেছে। বিজেপি জেলা সভাপতি বাপি গোস্বামী বলেন, “বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ থাকলে সেটি প্রকাশ্যে আনা হোক। আমাদের অনুমান, জেলার সব ব্লক থেকে তৃণমূলের নেতারা সুপারিশ করেছিলেন। সে সবও জোগাড় করছি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy