—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
কোভিড পরিস্থিতি সামাল দিতে জলপাইগুড়ি মেডিক্যালে চালু করা হচ্ছে ২০ শয্যার কোভিড ওয়ার্ড। হাইব্রিড ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটও প্রস্তুত রাখা হচ্ছে বলে সূত্রের খবর। মাস্ক ও স্যানিটাইজ়ার ব্যবহার করা এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আবেদনও জানানো হচ্ছে বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
ফের করোনা-শঙ্কা দেখা দেওয়ায় সতর্কতা অবলম্বন করতে প্রচার চালানো হচ্ছে বলে স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর। করোনা নিয়ে এখনও পর্যন্ত ভয় পাওয়ার তেমন কারণ না থাকলেও, সতর্কতা ও স্বাস্থ্যবিধি সঠিক ভাবে মেনে চলার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে বলে মনে করছেন স্বাস্থ্য-কর্তারা। করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক সতর্কতা জারি করেছে। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে এই সতর্কতা অবলম্বন করতে নির্দেশ পাঠানো হয়েছে বলে দফতর সূত্রে খবর। একই সঙ্গে সিভিয়ার অ্যাকিউট রেসিপিরেটরি ইনফেকশন (সারি) রোগীদের চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় সব ধরনের ব্যবস্থাই জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল-সহ জেলার হাসপাতালগুলিতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। শুক্রবার এই বিষয়ে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের সঙ্গে জেলার স্বাস্থ্য আধিকারিকদের ভার্চুয়াল বৈঠক হয়েছে বলে খবর।
এক স্বাস্থ্য আধিকারিকের কথায়, ‘‘মাস্ক পরার প্রবণতা বর্তমানে নেই বললেই চলে। মাস্ক ব্যবহারে শুধুমাত্র করোনা নয়, অন্যান্য অনেক রোগের প্রকোপ থেকেও রক্ষা পাওয়া যায়। এই সচেতনতা বাড়ানো খুবই জরুরি।’’ জেলা স্বাস্থ্য দফতরের দাবি, জেলায় করোনা মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি রাখা হচ্ছে। জলপাইগুড়ি মেডিক্যালের জেলা সদর হাসপাতালে ২০ শয্যার কোভিড ওয়ার্ড এবং ৮ শয্যার হাইব্রিড ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিট প্রস্তুত রাখা হচ্ছে। জেলার সব স্বাস্থ্য কেন্দ্রে করোনা পরীক্ষার ব্যবস্থাও রয়েছে বলে দাবি স্বাস্থ্য দফতরের।
মেডিক্যালের সুপার কল্যাণ খান বলেন, ‘‘করোনা পরিস্থিতি সামাল দিতে সব ধরনের ব্যবস্থাই নেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্টদের নিয়ে বৈঠকও হয়েছে।’’ জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক অসীম হালদার বলেন, ‘‘সিভিয়ার অ্যাকিউট রেসিপিরেটরি ইনফেকশন (সারি) রোগীদের চিকিৎসার জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আবেদনও জানানো হচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy