প্রতীকী ছবি।
পোস্টারে লেখা মাস্ক ছাড়া বিক্রি নয়। পোস্টারে ‘নো মাস্ক, নো সেল’ স্লোগানের মাঝখানে বড় করে মাস্ক পরা ছবি রয়েছে জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানার আইসি বিশ্বাশ্রয় সরকারের। আইসির এই ছবি দেওয়া পোস্টারে ছয়লাপ হয়েছে জলপাইগুড়ি শহরের দিনবাজার চত্বর। আর এই পোস্টার ঘিরেই বির্তক চরমে উঠেছে শহরে। প্রশ্ন তুলেছেন জলপাইগুড়ি পুরসভার চেয়ারম্যানও।
বেশ কিছুদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন জলপাইগুড়ি পুরসভার চেয়ারম্যান মোহন বসু। অসুস্থতা কাটিয়ে প্রায় আশিদিন পরে সোমবার সাংবাদিক বৈঠক করে চেয়ারম্যান প্রশ্ন তুলেছেন, “মুখ্যমন্ত্রীর অনুপ্রেরণায় এবং নির্দেশ মেনে আমরা সকলে কাজ করি। ছবি থাকলে মুখ্যমন্ত্রীর থাকবে। আইসির কেন? আইসি কী জেলার মালিক নাকি?” তাঁর কটাক্ষ, “আমরা সকলে কাজ করছি আর কিছু মানুষ আছেন যাঁরা নিজেদের প্রচার করছে।”
তৃণমূলের চেয়ারম্যানের এ ভাবে পুলিশ অফিসারকে আক্রমণ নজিরবিহীন বলে মনে করছেন দলের একাংশ। অন্যদিকে ওই পোস্টার ঘিরে পুলিশের অন্দরেও তুমুল শোরগোল পড়েছে। পোস্টারের নীচে দিনবাজার ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির নাম রয়েছে। সমিতির দাবি, ছবি ছাপার জন্য তাঁরা মৌখিক ভাবে আইসির অনুমতি নিয়েছেন। সমিতির সম্পাদক শরৎ মণ্ডল বলেন, “সাধারণ মানুষের সুবিধার্ধে প্রচারের জন্যই পোস্টার ছাপিয়েছিলাম। এর বাইরে আর কিছু বলতে পারব না।” সমিতির নির্বাহী সদস্য, সুমিত কুমার সাহা বলেন “আইসি সবসময়ে আমাদের পাশে থাকেন। তিনি মৌখিক ভাবে ছবি ছাপানোর অনুমতি দিয়েছেন।”
কিন্তু এ ভাবে একজন পুলিশ অফিসারের ছবি ছাপানো যায়? জলপাইগুড়ির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) শ্রীকান্ত জগন্নাথারাও ইলওয়াড বলেন, “ব্যবসায়ীরা মনে করছেন আইসির ছবি দিয়ে প্রচার করবেন, তাই করেছেন। ঠিকই আছে। জেলা পুলিশের তরফে আমরাও প্রচার চালাচ্ছি।” অন্যদিকে আইসি বিশ্বাশ্রয় সরকার কোনও মন্তব্য করতে চাননি। পুরসভার চেয়ারম্যান শহরের লকডাউন মানা নিয়েও একহাত নিয়েছে কোতোয়ালি থানার পুলিশ এবং আইসিকে। তিনি বলেন, “শহরে লকডাউন মানা হচ্ছে না। রাতের অন্ধকারে বহু মানুষ শহরে ঢুকছেন। আবার অনেকে চিকিৎসার জন্য পুলিশের অনুমতি নিতে গিয়েও হয়রানির শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ আসছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy