Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
Teesta River

গতিপথ বদল তিস্তার, হিমশিম সেচ দফতর

সম্প্রতি আরআরআই তথা রিভার রিসার্চ ইনস্টিটিউটের তরফে তিস্তার গতিপথ বদলানোর সমীক্ষা হয়েছে। সেই সমীক্ষা রিপোর্ট হাতে পেলে সেচ দফতর বন্যা মোকাবিলার কাজ শুরু করতে পারবে।

তিস্তার হরপা বানে গজোলডোবার কাছে ভেঙেছিল নদীর গাইড বাঁধ।

তিস্তার হরপা বানে গজোলডোবার কাছে ভেঙেছিল নদীর গাইড বাঁধ। ছবি: দীপঙ্কর ঘটক।

অনির্বাণ রায়
জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ১৫ মে ২০২৪ ০৯:৩৮
Share: Save:

নদীর সঙ্গে তাল মেলাতে এখন হিমশিম পরিস্থিতি সেচ দফতরের। গত অক্টোবর মাসে সিকিমে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের পরে, তিস্তা নদী একাধিক জায়গায় গতিপথ বদলেছে। তাই নদীতে জল বাড়লে কোথায় কী ঘটে যাবে তা ভেবে বর্ষার মরসুমের আগে সেচ দফতর আশঙ্কায়। প্রতি বছরই বর্ষার আগে বন্যা মোকাবিলার কাজ শুরু হয়। কোন নদীবাঁধ দুর্বল, কোথায় নদীপার থেকে মাটি খসে পড়েছে, অনেকটা সে সব দেখে মেরামত করা হয়। গত অক্টোবরের সিকিমের হ্রদ বিপর্যয়ের পরে সমতলে তিস্তা কিছু জায়গায় নতুন পথ দিয়ে বইছে। তাই সেই সব এলাকাতেও বন্যা নিয়ন্ত্রণের কতটা কাজ করতে হবে তা নিয়ে আশঙ্কায় সেচ দফতর। সম্প্রতি আরআরআই তথা রিভার রিসার্চ ইনস্টিটিউটের তরফে তিস্তার গতিপথ বদলানোর সমীক্ষা হয়েছে। সেই সমীক্ষা রিপোর্ট হাতে পেলে সেচ দফতর বন্যা মোকাবিলার কাজ শুরু করতে পারবে। সেচ দফতরের এক কর্তার কথায়, “আমরা এখন সেই রিপোর্টের আপেক্ষায়। রিপোর্টেই নদী নিজস্ব গতিতে কোথায় স্বাভাবিক ভাবে সরে গিয়েছে, কোথায় ফিরে আসার আশঙ্কা সে সব বোঝা যাবে। সেই মতো বন্যা নিয়ন্ত্রণের কাজ না হলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে।”

সেচ দফতর ইতিমধ্যেই প্রায় ২৮ কোটি টাকার প্রাথমিক কাজ শুরু করেছে। এ কাজের অধিকাংশই বদলে যাওয়া গতির তিস্তা নিয়ে। সেচ দফতরের দাবি, আগে যে এলাকাগুলি নিয়ে সেচ দফতরকে বেশি মাথা ঘামাতে হত না সেখানে এ বছর নতুন করে বন্যা নিয়ন্ত্রণের কাজ করতে হচ্ছে। যেমন প্রেমগঞ্জে, সেখানে প্রায় পাঁচ কোটি টাকার কাজ হয়েছে। দক্ষিণ চেংমারিতেও বন্যা রোখার কাজ চলছে। ময়নাগুড়ির বাকালির এক পাশে নতুন করে তিস্তা বইছে, সেখানেই বর্ষার আগে মেরামতির কাজ করতে হচ্ছে। লালটং বনবস্তি এলাকায় নতুন স্পার তৈরি করতে হবে বর্ষার তিস্তাকে বাঁধতে। এই এলাকাগুলিতে তিস্তা নতুন করে বইছে, সে কারণে বর্ষার সময়ে এ বছর নতুন এলাকায় বন্যার আশঙ্কা রয়েছে।

বিপর্যয়ের পরে তিস্তা কোথাও ডান দিকে, কোথাও বাঁ দিক ঘেঁষে বইছে। পুরনো গতিপথ পাল্টে ফেলাতেই নতুন এলাকায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরির আশঙ্কা হয়েছে বর্ষার সময়ে। সেবক থেকে সমতলে নেমেছে তিস্তা। সেখান থেকেই গতিপথ বদলেছে।

এই বিষয নিয়ে সেচ দফতরের এক বাস্তুকার বলেন, “সমীক্ষার কিছু প্রাথমিক তথ্য আমরা পেয়েছি, সে মতো কাজও শুরু হয়েছে। তিস্তা কিছু জায়গায় নতুন পথে বইছে, তাই নতুন এলাকা বন্যায় প্লাবিত হবে এই আশঙ্কা রয়েছে।”

অন্য বিষয়গুলি:

Teesta River Jalpaiguri Irrigation department
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy