রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। —ফাইল চিত্র।
ফের তৃণমূলের অন্দরে ‘মতবিরোধ’ মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে শুরু করেছে কোচবিহারে। বৃহস্পতিবার কোচবিহারের মাথাভাঙায় একটি সভায় উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী তথা দিনহাটার বিধায়ক উদয়ন গুহ হুঁশিয়ারি দেন, শহরের মানুষ চালাক। তৃণমূলকে ভোট দেয়নি। তাই শহরের উন্নয়ন আপাতত বন্ধ, এখন উন্নয়ন হবে গ্রামে। যার সঙ্গে সহমত না হয়ে তৃণমূলের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা কোচবিহার পুরসভার চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেছেন, ‘‘তৃণমূল সরকার গ্রামের সঙ্গেই শহরের উন্নয়নের কাজ জোরকদমে করছে। তৃণমূলের জয়ে শহরের উন্নয়নের গতি আরও বাড়বে।’’
মাথাভাঙার সভায় উদয়ন বলেন, ‘‘মাথাভাঙা এক নম্বর ব্লকের জন্য চার কোটি টাকা এবং মাথাভাঙা ২ নম্বর ব্লকের জন্য দশ কোটি টাকার ব্যবস্থা করে এসেছি। মাথাভাঙা শহরের জন্য এক টাকাও বরাদ্দ হয়নি। আমার (উদয়নের) নিজের শহর দিনহাটা এবং কোচবিহারের জন্য কোনও টাকা বরাদ্দ করা হয়নি। শহরের মানুষেরা গ্রামের মানুষের থেকে বেশি চালাক। শহরের লোকের উপলব্ধি হোক যে কিছু পেতে গেলে, কিছু দিতে হয়।’’ এর প্রেক্ষিতে রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, ‘‘উনি বা উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতর কী ভাবে টাকা বরাদ্দ করবে তা নিয়ে আমার কিছু বলার নেই। তৃণমূল সরকার গ্রামের সঙ্গেই শহরের উন্নয়নের কাজ জোরকদমে করছে। তৃণমূলের জয়ে শহরের উন্নয়নের গতি আরও বাড়বে।’’
লোকসভা নির্বাচনে কোচবিহারের ছ’টি পুরসভাতেই পিছিয়ে তৃণমূল। কোচবিহার পুরসভায় ১৮৬৩২ ভোটে এগিয়ে রয়েছে বিজেপি। ওই পুরসভার ২০টি ওয়ার্ডেই এগিয়ে রয়েছে বিজেপি। কোচবিহার পুরসভার চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথের ওয়ার্ডেও ভাল সংখ্যক ভোটে এগিয়ে রয়েছে বিজেপি। দিনহাটা পুরসভার ১৬ টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১৪ টি ওয়ার্ডেই তৃণমূল পিছিয়ে পড়ছে। ২ নম্বর ওয়ার্ডে উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রীর বাড়ি। সেখানেও এগিয়ে বিজেপি। মাথাভাঙা পুরসভায় ১২টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১১ ওয়ার্ডে বিজেপি লিড পেয়েছে। এক মাত্র ১২ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল ৪২ ভোটে ভোট লিড পেয়েছে। তুফানগঞ্জ পুরসভায় ৩৬৭৫ টি ভোটে পিছিয়ে রয়েছে তৃণমূল। হলদিবাড়ি পুরসভার ১১টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১০টিতেই এগিয়ে রয়েছে বিজেপি। হমেখলিগঞ্জ পুরসভায় কিছুটা হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়েছে। ওই পুরসভায় বিজেপি তৃণমূলের থেকে ১৪৪ ভোট বেশি পেয়েছে। পুরসভার এই ফলেই ক্ষুব্ধ শাসক শিবিরের একটি অংশ। আর তার জেরেই উদয়নের হুঁশিয়ারি বলে মনে করা হচ্ছে। বিজেপির কোচবিহার জেলার সাধারণ সম্পাদক বিরাজ বসু বলেন, ‘‘আগামীতে গ্রামেও পিছিয়ে পড়বে শাসক দল। তাই এমন হুঁশিয়ারি দিয়ে লাভ নেই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy