ছবি: সংগৃহীত।
আলিপুরদুয়ার জেলায় দু’টি দলবদলের ঘটনায় ফের প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল।
বুধবার কালচিনি ব্লকের দলসিংপাড়া জিএসটি মোড়ে তৃণমূল নেতা মোহন শর্মার নেতৃত্বে বিজেপি, কংগ্রেস, বাম শ্রমিক সংগঠনের ৬০০ জন তৃণমূলে যোগ দেন বলে দাবি করা হয়। মোহন শর্মা ছাড়াও সেখানে ছিলেন তৃণমূল নেতা তথা কালচিনি পঞ্চায়েত সমিতির সহসভাপতি প্রভাত মুখোপাধ্যায়, কালচিনির প্রাক্তন ব্লক সভাপতি বাবলু মজুমদার। তবে, জেলার কোনও নেতাকে দেখা যায়নি বলে সূত্রের খবর।
এ দিকে, ওই দিনই তৃণমূলের আলিপুরদুয়ার জেলার প্রাক্তন সভাপতি মোহন শর্মার তালুক কালচিনির ২০০ জনকে তৃণমূলের জেলা কো-অর্ডিনেটর পাসাং লামা আলিপুরদুয়ার জেলা পার্টি অফিসে এনে তৃণমূলে যোগ দেওয়ান বলে খবর। সেখানে ছিলেন আলিপুরদুয়ার জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি মৃদুল গোস্বামী, জেলা কো-অর্ডিনেটর দশরথ তিরকে, দীপ্ত চট্টোপাধ্যায় প্রমুখ। একই দিনে একই ব্লকের বাসিন্দারা দু’জায়গায় গিয়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় প্রশ্ন উঠেছে দলের অন্দরেই।
সূত্রের খবর, আলিপুরদুয়ার জেলা তৃণমূলের কার্যালয়ের থেকে বেশি মানুষ দলসিংপাড়ায় তৃণমূলে যোগ দেন। কিন্তু, ওই অনুষ্ঠানে দলের জেলা সভাপতি বা জেলা কোঅর্ডিনেটরের ছিলেন না। এ প্রসঙ্গে জেলা তৃণমূলের কোঅর্ডিনেটর পাসাং লামা বলেন, ‘‘দলসিংপাড়ায় দলবদল অনুষ্ঠানে আমাকে বা জেলা সভাপতিকে বলা হয়নি। ফলে, সেখানে কী হয়েছে বলতে পারব না। দলীয় ভাবে আমাদের জেলা কার্যালয়ে বুধবার দলে যোগদান কর্মসূচি ছিল। সেখানে আমাদের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। আমি নিজেও সেই অনুষ্ঠানে ছিলাম।’’
বিষয়টি নিয়ে দলের প্রাক্তন জেলা সভাপতি তথা আলিপুরদুয়ার জেলা পরিষদের মেন্টর মোহন শর্মার সঙ্গে দলের বর্তমান জেলা কমিটির শীর্ষ নেতাদের বিরোধ যে প্রকাশ্যে চলে এসেছে, স্বীকার করেছেন দলের নেতা-কর্মীদের অনেকে। তাঁদের কথায়, পাসাং লামা ও মোহন শর্মার দ্বন্দ্ব এক সময়ে প্রকাশ্যেই চলে এসেছিল। আবার তা প্রকাশ্যে আসায় অস্বস্তিতে জেলার নেতারা।
যদিও দলসিংপাড়ার দলবদল অনুষ্ঠানে জেলা সভাপতি মৃদুল গোস্বামীকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি বলে জানিয়েছেন মোহন। তিনি বলেন, ‘‘ব্লকের বাসিন্দাদের কে কোথায় নিয়ে গিয়ে দলে যোগ দেওয়াচ্ছেন, জানা নেই। দলসিংপাড়ায় যুব তৃণমূলের উদ্যোগে দলে যোগদান কর্মসূচি ছিল। জেলা সভাপতি ফালাকাটা নিয়ে ব্যস্ত। তাই তাঁকে আমন্ত্রণ জানিয়ে বিরক্ত করা হয়নি।’’ তৃণমূলের জেলা সভাপতি মৃদুল গোস্বামী অবশ্য জানান, ‘‘দু’জায়গায় দলবদল কর্মসূচি নিয়ে বিতর্কের কিছু নেই। আমাদের জেলায় কোনও গোষ্ঠীকোন্দল নেই। দু’জায়গাতেই প্রচুর মানুষ দলে এসেছেন। প্রতিদিন অনেকে আমাদের দলে অনেকে যোগ দিচ্ছেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy