Advertisement
১০ জানুয়ারি ২০২৫
TMC

Cooch Behar TMC: কোচবিহারে পুজো-রাজনীতি কি নতুন সমীকরণের ইঙ্গিত? শুরু নয়া জল্পনা  

গিরীন্দ্রনাথ বলেন, ‘‘কোচবিহারের পুরনো মন্দিরের ইতিহাস তুলে ধরা আমাদের লক্ষ্য। জেলার সমস্ত স্থাপত্যের ইতিহাস তুলে ধরার পরিকল্পনা করেছি।’’

স্থাপত্য নিয়ে আলোচনায় মগ্ন কোচবিহার তৃণমূলের চেয়ারপার্সন গিরীন্দ্রনাথ।

স্থাপত্য নিয়ে আলোচনায় মগ্ন কোচবিহার তৃণমূলের চেয়ারপার্সন গিরীন্দ্রনাথ। নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ২৭ এপ্রিল ২০২২ ২৩:২৪
Share: Save:

রাজনীতির মেঠো পথ ছেড়ে পুরনো মন্দিরের চাতালে বসে স্থাপত্য নিয়ে আলোচনায় মগ্ন কোচবিহার তৃণমূলের চেয়ারপার্সন গিরীন্দ্রনাথ বর্মণ, রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ ও বিনয়কৃষ্ণ বর্মণ। এই ছবি রাজার শহর কোচবিহারে নতুন জল্পনার জন্ম দিয়েছে। প্রশ্ন উঠছে, প্রাক্তন তিন জেলা সভাপতি কি নতুন কোনও সমীকরণের অংশ হতে চলেছেন?

তাঁদের মন্দির সফরের পোশাকি নাম দেওয়া হয়েছে ‘শিকড়ের সন্ধানে’। গিরীন্দ্রনাথ বর্মণ বলেন, ‘‘কোচবিহারের পুরনো মন্দিরের ইতিহাস তুলে ধরাই আমাদের লক্ষ্য। আগামী দিনে জেলার সমস্ত স্থাপত্যের ইতিহাস তুলে ধরার পরিকল্পনা করেছি। এর সঙ্গে রাজনীতির যোগ নেই।’’ যদিও এ কথা মানতে নারাজ জেলার রাজনীতির কারবারিরা। তাঁদের মতে, জেলা সভাপতি পার্থপ্রতিম রায়ের দল পরিচালনায় অসন্তোষই এক সুতোয় মিলিয়ে দিয়েছে এত দিনের যুযুধান তিন নেতাকে। ঘটনাচক্রে, একই দিনে মাথাভাঙায় কাউয়ারডারা মন্দিরে পুজো দিতে দেখা গিয়েছে পার্থপ্রতিমকেও।

জেলা সভাপতি নিজের খেয়াল খুশি মতো দল চালাচ্ছেন। গুরুত্ব পাচ্ছেন না প্রবীণ নেতারা। এই অভিযোগে গিরীন্দ্রনাথ একাধিক বার তোপ দেগেছেন পার্থের দিকে। এ বার তিনি পাশে পেয়েছেন রবীন্দ্রনাথ, বিনয়কৃষ্ণের মতো প্রাক্তন জেলা সভাপতিদেরও। ফলে কোচবিহারে তৃণমূলের অন্দরে নতুন কোনও সমীকরণ উঠে আসছে কি না, তা নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছে। যদিও গিরীন্দ্র বা রবীন্দ্রেরা এই তত্ত্ব মানতে নারাজ। তাঁরা এক সুরো জানাচ্ছেন, কোচবিহারে বহু পুরনো মন্দিরের ইতিহাস খুঁজে বার করে, তা মানুষের সামনে তুলে ধরতেই এই উদ্যোগের নাম দেওয়া হয়েছে শিকড়ের খোঁজে। তবে শুধুই কি ইতিহাসের খানাতল্লাশি, প্রশ্ন ছুড়ে দিচ্ছেন রাজনীতির পর্যবেক্ষকেরা।
বুধবার এই প্রসঙ্গে রবীন্দ্রনাথ বলেন, ‘‘আজ শেকড়ের সন্ধানে বেরোইনি। অফিস করেছি। তবে খুব তাড়াতাড়ি আবার শিকড়ের সন্ধানে বেরোব। এর পর দিনহাটার গোসানিমারি অর্থাৎ কোচবিহার রাজপাটে যাব। রাজার শহর কোচবিহারে বহু নিদর্শন ছড়িয়ে-ছিটিয়ে। আমাদের শেকড়ের সন্ধানে যাত্রার সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই। ইতিহাসবিদ বা যাঁরা ইতিহাস নিয়ে গবেষণা করেন, তাঁরাও আমাদের সঙ্গে থাকছেন।”

গিরীন্দ্রনাথ বুধবার বলেন, ‘‘আজ সে ভাবে শিকরের সন্ধানে বেরোনো হয়নি। এক আত্মীয়ের বাড়িতে ঘুরতে এসেছি। পাশেই একটি পুরনো জমিদার আমলের দোতলা বাড়ি ঘুরে এলাম। এ সব তো আর চোখেই পড়ে না। ৭ মে আমরা দিনহাটার গোসানিমারি মন্দিরে যাব। সেখানকার খনন কাজ বন্ধ হয়ে রয়েছে বলে শুনেছি। যে কারণে সেখানকার ইতিহাস মানুষের কাছে এখনও অজানা। খননকাজ পুনরায় চালু করার দাবি জানাব। আমি ইতিহাসের শিক্ষক। ইতিহাস নিয়ে গবেষণা করা, পুরনো জিনিস তুলে ধরা আমার এক ধরনের শখ।’’

অন্য বিষয়গুলি:

TMC Cooch Behar
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy