ফাইল চিত্র।
চালু হতে চলেছে উত্তরবঙ্গে মেডিক্যালের ‘ট্রমা কেয়ার সেন্টার’। সব কিছু ঠিক থাকলে আজ, সোমবার নবান্ন থেকে ভার্চুয়াল ভাবে তার সূচনা করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দুর্ঘটনাগ্রস্ত গুরুতর রোগীর চিকিৎসায় দীর্ঘদিন ধরে এই পরিষেবার দাবি ছিল উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে।
২০১২ সাল থেকে কেন্দ্রীয় প্রকল্পে এই হাসপাতালে ট্রমা কেয়ার সেন্টার তৈরির কাজ শুরু হয়। এ বার তা চালু হচ্ছে।
যদিও নিউরো সার্জেন বা নিউরোলজির কোনও চিকিৎসক এখনও নেই। তাই মস্তিষ্কে বা মেরুদণ্ডে চোটের চিকিৎসা কতটা মিলবে তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েইছে। নেই সিটি স্ক্যানের মতো যন্ত্রাংশও। যা ট্রমা কেয়ারের মতো পরিষেবার জন্য অত্যন্ত জরুরি বলেই চিকিৎসকেরা মনে করেন। কর্তৃপক্ষ জানান, সার্জারি, অর্থোপেডিক, অ্যানাস্থেসিয়া, মেডিসিন বিভাগের চিকিৎসকদের দিয়েই পরিষেবা চালু হচ্ছে। হাসপাতালে সিটি স্ক্যান যন্ত্র দ্রুত আসতে চলেছে। পরিষেবার কাজে সমস্যা হবে না। জরুরি বিভাগের দোতলায় ওই কেন্দ্রটি হয়েছে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, লেভেল-২ মানের এই ট্রমা কেয়ার সেন্টার গড়ে তোলা হয়েছে। উত্তরবঙ্গে এটাই প্রথম এ ধরনের ব্যবস্থা। ২০টি শয্যা থাকছে সব মিলিয়ে। তার মধ্যে ট্রমার ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে থাকছে ১০টি শয্যা। স্টেপ ডাউনে তথা এইচডিইউ ইউনিটে থাকছে আরও ১০টি শয্যা। জটিল অস্ত্রোপচারের ব্যবস্থা থাকছে এই ইউনিটে। হাসপাতালের সুপার কৌশিক সমাজদার বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী নবান্ন থেকে ট্রমা কেয়ার সেন্টার উদ্বোধন করবেন। পথ দুর্ঘটনায় গুরুতর জখমদের চিকিৎসায় এই ট্রমা কেয়ার উন্নত চিকিৎসা দেবে।’’
হাসপাতাল সূত্রে জানানো হয়েছে, উদ্বোধন অনুষ্ঠানে পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব, ইসলামপুর পুরসভার প্রশাসক কানাইলাল আগরওয়াল, উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান রুদ্রনাথ ভট্টাচার্যের থাকার কথা।
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের অধীনে কেন্দ্রের প্রকল্পে এই সেন্টারটি গড়ে ওঠে। কয়েক কোটি টাকা খরচ করে পরিকাঠামো গড়ে তোলা হয়েছে। দুই বছর পর থেকে রাজ্য কেন্দ্রটি চালানোর খরচের দায়িত্বভার বহন করবে। এমনকী দুর্ঘটনাস্থল থেকে জখমকে উদ্ধার করে হাসপাতালে আনার জন্য একটি অত্যাধুনিক মানের অ্যাম্বুল্যান্সও ৫ বছর আগে এই প্রকল্পে পেয়েছে এই হাসপাতাল। করোনা পরিস্থিতিতে যা দার্জিলিং জেলা স্বাস্থ্য দফতরের কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।
তবে নিউরো সার্জেন বা নিউরোলজির চিকিৎসক ছাড়়া ট্রমা কেয়ারে গুরুতর রোগীদের কী ভাবে পরিষেবা দেওয়া সম্ভব হবে? হাসপাতালের সুপার বলেন, ‘‘নির্দিষ্ট সাম্মানিক দিয়ে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে ওই ধরনের চিকিৎসক আনার সুযোগ রয়েছে। আমরা সেই বিষয়টিও দেখছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy