প্রতীকী ছবি।
সদর ব্লকে বন্ধ রায়পুর চা বাগানে গত দশ মাসে অনাহারে মারা গিয়েছেন ৩৪ জন শ্রমিক ও শ্রমিক পরিবারের সদস্য। এমনই অভিযোগ তুলল তৃণমূলেরই শ্রমিক সংগঠনের নেতৃত্ব। মঙ্গলবার অবিলম্বে এই বাগান খোলার দাবিতে শ্রমিকেরা জলপাইগুড়ি জেলাশাসকের দফতরে এসে বিক্ষোভ দেখান। আইএনটিটিইউসি অনুমোদিত তরাই-ডুয়ার্স প্লানটেশন ওয়ার্কাস ইউনিয়নের তরফে এ দিন বাগানের শ্রমিকরা জেলাশাসকের দফতরে এসে বিক্ষোভ দেখিয়ে স্মারকলিপি জমা দিয়েছেন।
শ্রমিক সংগঠনের নেতা প্রধান হেমব্রম বলেন, ‘‘গতবছরের ১২ সেপ্টেম্বর মালিকপক্ষ বাগান বন্ধ করে পালিয়ে যায়। এরপর থেকে শ্রমিকেরা অসহায় অবস্থায় রয়েছেন। এ পর্যন্ত অনাহার অর্ধাহারে বাগানের ৩৪ জন শ্রমিক ও শ্রমিক পরিবারের সদস্যদের মৃত্যু হয়েছে।’’ সংগঠনেরই কার্যকরী সভাপতি স্বপন সরকার বলেন, ‘‘বাগানের শ্রমিকরা ঠিকমতো প্রয়োজনীয় খাবার পাচ্ছেন না।’’
যদিও তৃণমূলের জলপাইগুড়ি জেলা সভাপতি সৌরভ চক্রবর্তী বলেন, ‘‘অনাহারে মৃত্যুর ঘটনার কোনও খবর আমার জানা নেই। তবে অবশ্যই এই বিষয়ে খোঁজ নিয়ে দেখব। শ্রমিক সংগঠনের সঙ্গেও কথা বলব।’’
জলপাইগুড়ির অতিরিক্ত জেলাশাসক মলয় হালদার বলেন, ‘‘আমরা বাগান খোলার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। অনাহারে মৃত্যু হয়েছে কি না তাও তদন্ত করে দেখা হবে।’’ সূত্রের খবর, এই বাগানে শ্রমিকের সংখ্যা ৫৫০। ২০০৩ থেকেই রায়পুর চা বাগানে অচলাবস্থা চলছে। ওই সময় থেকে টানা ৬ বছর এই বাগান বন্ধ ছিল। ২০০৯ সালে বাগান খোলার পরে ফের ২০১৩ সালে বন্ধ করে দেয় মালিক পক্ষ। অভিযোগ, ২০১৪-তে বাগান খোলার পরে শ্রমিকেরা দৈনিক ১৭৬ টাকা ৫০ পয়সা মজুরির পরিবর্তে ১৩২ টাকা ৫০ পয়সা মজুরিতে কাজ করতেন। ২০১৮ তে বন্ধ হয়ে যায় বাগান। বাগানের শ্রমিক শরিতা মুন্ডা, বাবি মুন্ডারা বলেন, ‘‘আমরা কম মজুরিতে কাজ করতাম। তবুও মালিক কেন বাগান বন্ধ করে পালিয়ে গেল?’’
এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের YouTube Channel - এ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy