ফাইল চিত্র।
আরও কিছু বিশিষ্টজনকে আনা হতে পারে জলপাইগুড়ি পুরসভার প্রশাসক বোর্ডে, এমনই খবর তৃণমূল সূত্রে। গত মঙ্গলবার একটি সরকারি নির্দেশ জারি করে জেলা যুব তৃণমূল সভাপতি ও প্রাক্তন কাউন্সিলর সৈকত চট্টোপাধ্যায় এবং তৃণমূলের আরও দুই প্রাক্তন কাউন্সিলরকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে প্রশাসনিক বোর্ড থেকে। তার বদলে বোর্ডে আনা হয়েছে ভাওয়াইয়া গানের জনপ্রিয় শিল্পী দুর্গা রায়কে। সরকারি সিদ্ধান্ত হলেও, এর নেপথ্যে তৃণমূলের বিধানসভা ভোটের অঙ্ক কাজ করছে বলে দাবি। প্রথমত পুরসভার বোর্ডে বিশিষ্টজনকে অর্ন্তভুক্ত করে স্বচ্ছতার বার্তা দেওয়া এবং আগামী বিধানসভা ভোটের আগে বেশ কিছু রাজবংশী মুখ সামনে রাখা। যদিও সৈকতের অনুগামী সহ তৃণমূলের একাংশের আশঙ্কা, প্রশাসক বোর্ড থেকে তিনজন বাদ গেলে পুর-পরিষেবা মুখ থুবড়ে পড়তে পারে।
পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারপার্সন ও তৃণমূল নেত্রী পাপিয়া পাল বলেন, “নতুন বোর্ডকে স্বাগত জানাই। কাজে কোনও অসুবিধে হবে না। আমরা সকলে মিলে বসে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেব।” সূত্রের খবর আরও কয়েকজন অরাজনৈতিক মুখ প্রশাসক বোর্ডে আনা হতে পারে। তাঁদের মধ্যে সংখ্যালঘু সমাজের প্রতিনিধিও থাকতে পারেন।
পুরসভার প্রশাসক বোর্ডে দলের কাউন্সিলরদের বদলে কেন পুর-রাজনীতিতে অনভিজ্ঞ দুর্গা রায়কে তৃণমূল নিয়ে এল, এই প্রশ্ন ঘুরছে শহরে। দুর্গা রায় সক্রিয় রাজনীতিতে যুক্ত নন। তবে তৃণমূলের মঞ্চে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে গান গাইতে দেখা গিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর সরকারি অনুষ্ঠানেও তাঁকে দেখা যায়। বহু পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। লোকশিল্পীদের অনেকের দাবি, ‘এক উত্তরবঙ্গে আসিয়া যান, হামার জাগা খান দেখিয়া যান...’ এই গানটি জনপ্রিয় হয়েছে দুর্গা রায়ের হাত ধরেই। গানটির সঙ্গে রাজবংশী আবেগও জড়িয়ে রয়েছে। দুর্গা রায়কে জলপাইগুড়িতে দলের অন্যতম মুখ হিসেবে ব্যবহার করলে আনায়াসে সেই আবেগ ছোঁয়া সম্ভব হবে বলে মনে করছেন তৃণমূল নেতৃত্ব।
জলপাইগুড়ি পুর এলাকা সদর বিধানসভার একটি বড় অংশ জুড়ে রয়েছে। দুর্গা রায় জলপাইগুড়ি শহরের পান্ডাপাড়ার বাসিন্দা। পুরসভায় কাজ করলে শহরের সঙ্গে সেই যোগাযোগ আরও পোক্ত হবে বলে তৃণমূল মনে করছে। একই সঙ্গে রাজবংশী আবেগ বোঝা এই শিল্পীকে আগামী বিধানসভায় তৃণমূল জলপাইগুড়ি সদর আসনে কাজে লাগাতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
দুর্গা রায় এ দিন বলেন, “মানুষের জন্য কাজ করার সুযোগ পেয়ে আমি গর্বিত। মানুষের জন্য বেশি করে কাজ করার সুযোগ পেলে নিশ্চয়ই করব।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy