দূষণ: বৃহস্পতিবার সাতসকালে শহর জুড়ে পুড়ল আতশবাজি। অভিযোগ, দর্শকের ভুমিকায় ছিল পুলিশ।
ছটঘাটে সবুজ বাজির নামে ফাটল নিষিদ্ধ বাজি ও শব্দবাজি।
বুধবার ও বৃহস্পতিবার শিলিগুড়ির বিভিন্ন ছটঘাটে নিষিদ্ধ বাজি পোড়ানো হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এর মধ্যে কিছু জায়গায় আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে ফাটানো হয়েছে শব্দবাজিও। যা নিয়ে সরব হয়েছেন শহরের পরিবেশপ্রেমীরা। বাজি নিয়ে পুলিশের নজরদারির অভাব ছিল বলে অভিযোগ উঠছে। বাজির সঙ্গেও ডিজের দাপটে কান ঝালাপালা অবস্থা হয়েছে শহরবাসীর। ছটপুজোয় শহরের নানা জায়গায় বুধবার ও বৃহস্পতিবার বাজি ফেটেছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সবুজ বাজির ব্যবহার হয়নি। আবার কোথাও ফাটানো হয়েছে নিষিদ্ধ শব্দবাজি। লালমোহন মৌলিক ঘাট, নৌকাঘাট, চম্পাসারি, এনজেপি, অম্বিকানগর, ফুলবাড়ি-সহ বিভিন্ন এলাকায় নিষিদ্ধ বাজি ফাটানো হয়েছে বলে অভিযোগ। ছটঘাটগুলিতেও বাজি পুড়েছে। এমন অবস্থায় পুলিশের নজরদারির অভাব ছিল অভিযোগ করছেন অনেকেই। এমনকি ঘাটগুলির কাছে দোকানগুলি থেকেও চুপিসাড়ে বিক্রি হয়েছে নিষিদ্ধ বাজি।
বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন শহরের পরিবেশপ্রেমীরাও। পরিবেশপ্রেমী অনিমেষ বসুর কথা, “কালীপুজো, ছটপুজোয় বাজির ব্যবহার যাতে না করা হয় তা নিয়ে আমরা অনেকদিন ধরেই আবেদন করে আসছিলাম। কিন্তু লাভ হয়নি। কিছু অসচেতন মানুষের জন্য বাজির ধোঁয়ায় দূষণ বাড়ল। এর প্রভাবে পরিবেশেরও ক্ষতি হল অনেক।”
তবে বিভিন্ন ঘাটে ও এলাকায় নিষিদ্ধ বাজি পোড়ানো হলেও পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ রয়েছে। এ নিয়ে পুলিশ কমিশনার গৌরব শর্মা জানান, “আদালতের বেঁধে দেওয়া সময়ে সকলকে সবুজ বাজি পোড়ানোর কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু আমাদের কাছে নিষিদ্ধ বাজি পোড়ানো বা শব্দবাজি ফাটানো নিয়ে কোনও অভিযোগ জমা পড়েনি।” এ দিকে বাজির পাশাপাশি বুধবার রাতভর শহরের বেশকিছু এলাকায় তারস্বরে ডিজে বাজানো হয়েছে। চম্পাসারি, নৌকাঘাট, এনজেপি, বর্ধমান রোড সংলগ্ন এলাকায় রাতভর ডিজে বেজেছে বলে অভিযোগ। কাওয়াখালি এলাকাতেও একই অবস্থা ছিল বলে দাবি বাসিন্দাদের। তারস্বরে বৃহস্পতিবার ভোর পর্যন্তও কিছু এলাকায় ডিজে বাজানো হয়েছে। নৌকাঘাট এলাকার বাসিন্দা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক যুবক জানান, “বাড়িতে অসুস্থ বাবা থাকেন। রাতে ডিজের শব্দে ঘুমোতে পারেননি। গভীর রাত পর্যন্ত ডিজে বাজলেও তা বন্ধ করার জন্য পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy