বাড়ির অমত ছিল। কিন্তু মেয়ে মানেননি। পছন্দের পুরুষকে বিয়ে করেছিলেন। কিন্তু তার পর থেকে মেয়ের সঙ্গে বাপের বাড়ির যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। সোমবার মেয়ের মৃত্যুর খবর পেল বাপের বাড়ি। বিয়ের এক বছর না ঘুরতেই শ্বশুরবাড়ি থেকে বধূর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে। উত্তর দিনাজপুরের চোপড়া থানার ঘটনা।
মৃতার মায়ের অভিযোগ, মেয়েকে শ্বাসরোধ করে খুন করেছেন জামাই। অন্য দিকে, শ্বশুরবাড়ির দাবি, গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন বধূ। এ নিয়ে সোমবার সকাল থেকে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি চোপড়ার দলুয়া এলাকায়। অভিযোগের প্রেক্ষিতে মৃতার স্বামীকে আটক করেছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রের খবর, মৃতার নাম মীনা বর্মণ। তাঁর বাপের বাড়ির দাবি, বছরখানেক আগে বাড়ি থেকে পালিয়ে বিয়ে করেন ধীরেশ সিংহ নামে এক যুবককে। শ্বশুরবাড়ি এবং বাপের বাড়ির দূরত্ব বেশি না-হলেও মেয়ের সঙ্গে তাঁদের কোনও যোগাযোগ ছিল না বলে দাবি মায়ের। তার মধ্যে সোমবার তিনি খবর পান যে মীরা গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।
মেয়ের মৃত্যুর খবর পেয়ে তাঁর শ্বশুরবাড়িতে ছুটে গিয়েছিলেন প্রৌঢ়া। তিনি বলেন, ‘‘মেয়ের বিয়ের পর আর ওর সঙ্গে কোনও রকম ভাবে আমাদের যোগাযোগ করতে দিত না ছেলের বাড়ির লোকজন। কিন্তু আজ (সোমবার) সকালে আমাদের ফোন করে জানানো হয়, মেয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। আমরা গিয়ে দেখি, মেয়ের গলায় ফাঁসের দাগ নেই। ওকে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে। পরে গলায় গামছা দিয়ে ওকে ঝুলিয়ে রেখেছিল।’’ প্রৌঢ়ার অভিযোগ জামাইয়ের বিরুদ্ধে।
আরও পড়ুন:
মীনার দেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য এলাকায়। খবর পেয়ে চোপড়া থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। মৃতার দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতাল মর্গে পাঠায় তারা। বাপের বাড়ির অভিযোগের ভিত্তিতে মৃতার স্বামী ধীরেশকে পুলিশ আটক করেছে। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।