Advertisement
১৯ নভেম্বর ২০২৪

বকেয়া না মেটানোয় আটকে শিশুর দেহ

বকেয়া না মেটানোয় সদ্যোজাত মৃত সন্তানের দেহ তার বাবা-মায়ের হাতে তুলে দিতে অস্বীকার করল নার্সিংহোম। রবিবার ওই সদ্যোজাতের পরিবার শিলিগুড়ির মাটিগাড়া থানায় অভিযোগ করেছেন।

হয়রানি: অভিযোগ জানাচ্ছেন মৃত শিশুর বাবা। ছবি: বিশ্বরূপ বসাক

হয়রানি: অভিযোগ জানাচ্ছেন মৃত শিশুর বাবা। ছবি: বিশ্বরূপ বসাক

নিজস্ব সংবাদদাতা
শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ২৭ মার্চ ২০১৭ ০২:০৭
Share: Save:

বকেয়া না মেটানোয় সদ্যোজাত মৃত সন্তানের দেহ তার বাবা-মায়ের হাতে তুলে দিতে অস্বীকার করল নার্সিংহোম। রবিবার ওই সদ্যোজাতের পরিবার শিলিগুড়ির মাটিগাড়া থানায় অভিযোগ করেছেন।

সদ্যোজাতটি টেস্টটিউব শিশু। তার বাবা নির্মল রায় মেটেলি ব্লকের বাতাবাড়ির বাসিন্দা। একটি গ্যারাজে কাজ করেন। স্ত্রী কণিকাদেবীর চিকিৎসা করছিলেন ওই নার্সিংহোমের চিকিৎসক প্রসেনজিৎ রায়। নির্মলবাবু জানান, টেস্টটিউব সন্তানের জন্য আড়াই লক্ষ টাকা দিয়েছেন। সন্তান প্রসবের জন্য নার্সিংহোমের খরচ আলাদা ৩ লক্ষ টাকা চাওয়া হয় বলে অভিযোগ। যদিও নার্সিংহোমের দাবি, তাঁরা চেয়েছিলেন ১ লাখ ৭০ হাজার টাকার মতো। যার মধ্যে ৭০ হাজার টাকা নির্মলবাবুরা দিয়েছেন।

নির্মলবাবুর দাবি, ১৪ মার্চ কণিকাদেবীকে নার্সিংহোমে ভর্তি করানো হয়। ২১ মার্চ কণিকাদেবীকে ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়। তবে আবার ভর্তি করানো হয় সে দিন রাতেই। ২৫ মার্চ রাতে তাঁর স্ত্রীর অস্ত্রোপচার করা হয়। একটি শিশুপুত্রর জন্ম দেন কণিকাদেবী। কিন্তু ভোর পাঁচটা নাগাদ সন্তানের মৃত্যু হয়। নির্মলবাবুর দাবি, ‘‘ছেলের কুঁচকির কাছে কাটা দাগ ছিল। বিনা চিকিৎসাতেই আমার ছেলে মারা গিয়েছে।’’

প্রসেনজিৎবাবুর বক্তব্য, ৪০ সপ্তাহে প্রসব করানোর কথা অথচ ২৮ সপ্তাহের মাথায় অস্ত্রোপচার করতে হয়েছে। সে জন্য পায়ের ওই অংশে ক্ষত হয়েছিল। সদ্যোজাতের ওজন ছিল ১ কিলো ৩৫০ গ্রাম। যা স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক কম। নার্সিংহোমের অ্যাসিস্ট্যান্ট জেনারেল ম্যানেজার কৌশিক হালদার বলেন, ‘‘কিছু টাকা ওঁদের বকেয়া ছিল। কিন্তু তা না দিলে দেহ দেওয়া হবে না, এমনটা কখনওই বলা হয়নি।’’ কৌশিকবাবুর দাবি, ‘‘ওঁরাই বাচ্চার দেহ নিয়ে যাননি।’’

অন্য বিষয়গুলি:

Hospital Child Body Detained
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy