প্রতীকী চিত্র
দু-তিন দিনের মধ্যে মালদহ ও দুই দিনাজপুরে পেঁয়াজের দাম এক লাফে ৫ টাকা বেড়ে হয়েছে ৪০ টাকা কেজি। আলুর দাম না বাড়লেও তিন জেলায় জ্যোতি ও পোখরাজ আলু ৩৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। জেলাবাসী বলছেন, টাস্কফোর্সের হানা বন্ধ হতেই দাম বাড়ছে। দাম চড়া অন্য আনাজেও।
মালদহ
তিন দিন ধরে দফায় দফায় বৃষ্টির জেরে বাজারে যেতে পারেননি মালদহের কুট্টিটোলার সাধন ঘোষ। বৃহস্পতিবার দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন মার্কেটে পেঁয়াজের দাম শুনে তিনি বলেন, ‘‘বিক্রেতা বলছেন দাম নাকি আরও বাড়বে।’’ এ দিন মকদুমপুর, রথবাড়ি, ঝলঝলিয়া মার্কেট-সহ অন্য বাজারেও এমনই অভিজ্ঞতা বাসিন্দাদের। ৪০ টাকা কেজির নীচে কোনও আনাজ নেই। কাঁচা লঙ্কার দাম ২০০ টাকা কেজি। শহরবাসীর অনেকে বলছেন, ‘‘গত দু’সপ্তাহ ধরে যে টাস্কফোর্সের দেখা নেই বাজারে তা বোঝাই যাচ্ছে।’’ রথবাড়ি বাজারের এক খুচরো পেঁয়াজ বিক্রেতা বলেন, ‘‘ভাল মানের নাসিকের পেঁয়াজ পাইকারি বাজার থেকে ৩৭ টাকা কেজি কিনে আনতে হচ্ছে। সব খরচ বাদ দিয়ে ৪০ টাকা কেজির নীচে বিক্রি করা যাচ্ছে না।’’ এক পাইকারি পেঁয়াজ বিক্রেতা বলেন, ‘‘নাসিকেই পেঁয়াজের দাম অনেক বেশি। তাই স্বাভাবিক ভাবেই এখানেও দাম বেশি।’’ আর এ নিয়ে জেলার টাস্ক ফোর্সের এক সদস্য বলেছেন, ‘‘প্রশাসনিক ভাবে যখন অভিযান করতে বলা হয়েছিল, করেছিলাম। নতুন করে আর নির্দেশ আসেনি।’’
বালুরঘাট
টাস্কফোর্সের অভিযান বন্ধ হতেই ফের আলুর দাম চড়ছে দক্ষিণ দিনাজপুরেও। রাজ্য সরকার প্রতি কেজি আলুর দাম ২৫ টাকা বেঁধে দিলেও, অভিযোগ বালুরঘাটে আলুর দর কেজিতে ৩৫ টাকায় উঠে গিয়েছে। বাড়ছে অন্য আনাজের দামও। আলু ক্রমশ সাধারণের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যেতে দেখে বিরোধী বামফ্রন্ট সরব হয়ে আন্দোলনের ডাক দিয়েছে। বালুরঘাটে বাম নেতা তথা বিধায়ক বিশ্বনাথ চৌধুরীর অভিযোগ, ‘‘এ মাসের শুরুতে বাজারে লোক দেখানো দু’দিন টাস্কফোর্সের অভিযান চলে। ফের দাম ফের বেড়ে গিয়েছে।’’ জেলা কৃষি বিপণন আধিকারিক সুব্রত দত্ত জানান, নতুন করে বাজার নিয়ন্ত্রণে কোনও সরকারি নির্দেশ নেই।
উত্তর দিনাজপুর
আলুর দাম নিয়ন্ত্রণে আনতে দুই সপ্তাহ আগে রায়গঞ্জের মোহনবাটী বাজারে অভিযান চালিয়েছিল প্রশাসন। তার পর আর অভিযান হয়নি বলে অভিযোগ। এই অবস্থায় আলু সহ বিভিন্ন আনাজের দাম বেড়ে চলেছে। বৃহস্পতিবার জেলার বিভিন্ন বাজারে কেজিপ্রতি ৩৫ টাকা দরে জ্যোতি আলু বিক্রি হয়েছে। পাশাপাশি, এ দিন পোখরাজ আলুর দাম ছিল কেজি প্রতি ৩২-৩৩ টাকা। আনাজ ব্যবসায়ীদের দাবি, কিছু দিন ধরে বৃষ্টির জেরে জেলার বিভিন্ন এলাকার আনাজের জমিতে জল জমে গিয়েছে। আর তার জেরে আমদানি কমে যাওয়ায় দাম বাড়তে শুরু করেছে। বিষয়টি নিয়ে রায়গঞ্জ জেলা পুলিশের দুর্নীতিদমন শাখার ডিএসপি প্রসাদ প্রধানের অবশ্য দাবি, আলু সমেত বিভিন্ন আনাজের দাম নিয়ন্ত্রণেই বিভিন্ন বাজারে অভিযান জারি রয়েছে।
বাজার দর
অত্যাবশ্যকীয় পণ্য*:
আলু: ৩৫ টাকা
পেঁয়াজ: ৪০ টাকা
অন্যান্য আনাজ*
পটল: ৫০ টাকা
বেগুন: ৬০ টাকা
ঝিঙে: ৪০ টাকা
কাঁচালঙ্কা: ২০০ টাকা
উচ্ছে: ৬০ টাকা
পেঁপে: ৫০ টাকা
টমেটো: ১০০ টাকা
ঢেঁড়শ: ৮০ টাকা
ওল: ৬০ টাকা
মূলো: ৭০ টাকা
চালকুমড়ো: প্রতিটি ৩০ টাকা
মিষ্টিকুমড়ো: ৪০ টাকা
*দাম প্রতি
তথ্য সহায়তা: জয়ন্ত সেন, অনুপ মোহান্ত ও গৌর আচার্য
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy