বিধিভঙ্গ: দূরত্ব থাকলেও মাস্ক ছাড়াই পথে বন্ধ দোকানের সামনে চলছে দাবা খেলা। লকডাউনে বালুরঘাটে। ছবি: অমিত মোহান্ত
মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ও উপ-মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ১-এর পর এবার মালদহে করোনা আক্রান্ত হলেন জেলার উপ-মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ২। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার অ্যান্টিজেন পরীক্ষায় তাঁর রিপোর্ট পজ়িটিভ আসে। গত ২৪ ঘণ্টায় ওই আধিকারিক-সহ জেলায় আরও ৯৬ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে ৯২ জনের রিপোর্ট পজ়িটিভ এসেছে ভাইরোলজি ল্যাব থেকে, বাকি চারটি অ্যান্টিজেন পরীক্ষায়। ফলে আক্রান্ত হলেন ২৪৩৮ জন। সুস্থ হয়ে ফিরেছেন ১২০১ জন।
জেলায় আক্রান্তের পাশাপাশি মৃত্যুর সংখ্যাও বাড়ছে। জানা গিয়েছে, শনিবার রাতে করোনা আক্রান্ত এক রোগীর মৃত্যু হয়েছে। তাঁর বাড়ি চাঁচলের থানাপাড়ায়। কয়েক দিন আগে ৪৯ বছরের ওই ব্যক্তির লালারসের রিপোর্ট পজ়িটিভ এসেছিল। তিন দিন আগে তাঁকে কোভিড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, করোনা সংক্রমণের পাশাপাশি তাঁর হৃদরোগ ও কিডনির সমস্যা ছিল। শ্বাসকষ্টও ছিল। এ দিকে শনিবার রাতে ওই ব্যক্তির স্ত্রী ও মেয়ের করোনা রিপোর্টও পজ়িটিভ এসেছে।
প্রতিদিনই জেলায় সংক্রমণ বাড়ছে। ফলে কয়েক ধাপে লকডাউন করে আদৌ লাভ হয়েছে কি না সেই প্রশ্ন উঠেছে। চিকিৎসকেরাও জানিয়েছেন, লকডাউন, এমনকী আনলক পর্বে বাসিন্দাদের বেশির ভাগই স্বাস্থ্যবিধি না মানাতেই এখন এই পরিস্থিতি।
এ দিকে উপ- মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ২ কয়েক দিন ধরে অসুস্থ ছিলেন এবং জেলা সদরের একটি নার্সিংহোমে ভর্তিও ছিলেন। শনিবার তাঁর অ্যান্টিজেন টেস্ট করা হয় এবং তাতে রিপোর্ট পজ়িটিভ আসে। মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ও উপ-মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ১ অবশ্য করোনা জয় করে কাজে যোগ দিয়েছেন। এ দিকে ইংরেজবাজার শহর সহ বামনগোলা, কালিয়াচক ১, মানিকচক, কালিয়াচক ২, চাঁচল ১ ব্লকে বাকি আক্রান্তরা বেশি সংখ্যায় রয়েছেন। মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ভূষণ চক্রবর্তী বলেন, ‘‘জেলার আরও এক স্বাস্থ্য আধিকারিক আক্রান্ত হয়েছেন। তাঁর শরীরে বাহ্যিক উপসর্গ নেই। করোনা পরীক্ষায় জোর দেওয়া হয়েছে। শহর ও ব্লকে ব্লকে অ্যান্টিজেন টেস্ট করা হবে।’’
(জরুরি ঘোষণা: কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের জন্য কয়েকটি বিশেষ হেল্পলাইন চালু করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এই হেল্পলাইন নম্বরগুলিতে ফোন করলে অ্যাম্বুল্যান্স বা টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত পরিষেবা নিয়ে সহায়তা মিলবে। পাশাপাশি থাকছে একটি সার্বিক হেল্পলাইন নম্বরও।
• সার্বিক হেল্পলাইন নম্বর: ১৮০০ ৩১৩ ৪৪৪ ২২২
• টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-২৩৫৭৬০০১
• কোভিড-১৯ আক্রান্তদের অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-৪০৯০২৯২৯)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy