Advertisement
২৫ নভেম্বর ২০২৪
Covid Hospital

নয়া হাসপাতালের চিন্তা

শিলিগুড়িতে চলা দুটি কোভিড হাসপাতালের প্রতিটিতে ১০০ শয্যা রয়েছে।

পদক্ষেপ: শিলিগুড়ি পুরসভা এলাকার টিকিয়াপাড়ায় ব্যারিকেড দিচ্ছেন পুরকর্মীরা। শুক্রবার। ছবি: বিনোদ দাস

পদক্ষেপ: শিলিগুড়ি পুরসভা এলাকার টিকিয়াপাড়ায় ব্যারিকেড দিচ্ছেন পুরকর্মীরা। শুক্রবার। ছবি: বিনোদ দাস

সৌমিত্র কুণ্ডু
শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ১১ জুলাই ২০২০ ০৬:৩৩
Share: Save:

শিলিগুড়ির করোনা পরিস্থিতির সঙ্গে লড়তে আরও একটি কোভিড হাসপাতাল তৈরি নিয়ে ভাবনা চিন্তা শুরু করেছে স্বাস্থ্য দফতর। তবে বেসরকারি হাসপাতাল বা নার্সিংহোম নিয়ে তাদের পরিকাঠামো ব্যবহার করে যেমন দু’টি কোভিড হাসপাতাল শিলিগুড়িতে চলছে তেমন ভাবে নয়। স্বাস্থ্য দফতরের ভাবনা, সরকারি কোনও ভবন পেলে সেখানে পরিকাঠামো তৈরি করে নেওয়া হবে। শিলিগুড়িতে করোনা রোগীদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ইতিমধ্যেই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক যারা কোভিড হাসপাতালে পরিষেবা দিতে রাজি তাঁদের তালিকা করা হয়েছে। নতুন কোভিড হলে সেখানেও তাঁদের কাজে লাগানো হবে। তাতে অনেক কম খরচে পরিষেবার ব্যবস্থা করা যাবে।

উত্তরবঙ্গে করোনা নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক সুশান্ত রায় বলেন, ‘‘পরিস্থিতির দিকে আমরা নজর রাখছি। সংক্রমণ আরও বাড়তে পারে। সে ক্ষেত্রে বিশেষ করে উপসর্গযুক্ত রোগীদের কথা ভেবে শিলিগুড়িতে আরও একটি কোভিড হাসপাতাল তৈরির কথা ভাবা হয়েছে। সরকারি কোনও ভবনে পরিকাঠামো গড়ে তোলা হবে।’’ প্রাথমিকভাবে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের সঙ্গেও বিষয়টি নিয়ে কথা বলা হচ্ছে। শিলিগুড়িতে আক্রান্তের সংখ্যা ছ’শোর উপরে। এখনও দুশোর বেশি চিকিৎসাধীন।

স্বাস্থ্য দফতরের একটি সূত্রে খবর, প্রশাসনের তরফে সাময়িক ভাবে নার্সিংহোম বা বেসরকারি হাসপাতাল অধিগ্রহণ করে সেখানে কোভিড হাসপাতাল করতে খরচ হচ্ছে প্রচুর। প্রতিটি কোভিড হাসপাতালের জন্য মাসে কোটি টাকার উপরে খরচ হচ্ছে। বেসরকারি নার্সিংহোম, হাসপাতালের যে ডাক্তার, নার্সরা কোভিড হওয়ার পরেও কাজ করছেন, তাঁদের খরচ সরকার দিচ্ছে। তার পরেও সরকারি হাসপাতাল থেকে চিকিৎসক দিতে হচ্ছে। তাই সরকারি কোনও ভবন পাওয়া গেলে অনেক কম খরচে ওই ধরনের হাসপাতাল চালানো সম্ভব হবে। যেমন পাহাড়ে ত্রিবেণিতে জিটিএ’র পর্যটন বিভাগের অধীনে থাকা একটি ট্যুরিস্ট লজকে কোভিড হাসপাতাল করা হয়েছে। তাই আগে থেকে খোঁজখবর করা হচ্ছে। তবে নামমাত্র খরচে কেউ বড় ভবন দিয়ে সহায়তা করলে সেখানেও করা যেতে পারে বলে স্বাস্থ্য দফতরের পরিকল্পনা।

শিলিগুড়িতে চলা দুটি কোভিড হাসপাতালের প্রতিটিতে ১০০ শয্যা রয়েছে। মাটিগাড়ার কোভিড হাসপাতালে অনেক সময়ই শয্যা ফাঁকা না থাকার মতো অবস্থা হয়। রোগী ছুটি হলে কিছু খালি মেলে। রোগীর চাপে কাওয়াখালির সিভিয়ার অ্যাকিউট রেসপিরেটরি ইনফেকশন (সারি) কেন্দ্রটি কোভিড হাসপাতালে পরিবর্তন করে উপসর্গযুক্ত, গুরুতর অসুস্থ রোগীদের চিকিৎসা চলছে। সম্প্রতি ‘সেফ হাউজ’ করে উপসর্গহীন রোগীদের রাখতে হচ্ছে। আর উত্তরবঙ্গ মে়ডিক্যালের একাংশে সন্দেহভাজন রোগীদের রাখতে হচ্ছে। নার্সিংহোমগুলোকে ১০ শতাংশ শয্যা করোনা রোগীদের জন্য রাখতে বলা হয়েছে। কিন্তু সব নার্সিংহোমে সেই ব্যবস্থা করা হয়নি বলে অভিযোগ। এ দিকে শিলিগুড়িতে সংক্রমণ বাড়ছে। তাই অবস্থা সামাল দিতে আরও একটি কোভিড হাসপাতালের কথা ভাবতে হচ্ছে বলে প্রশাসন সূত্রের খবর।

অন্য বিষয়গুলি:

Covid Hospital Siliguri Covid 19
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy