প্রতীকী ছবি।
হাথরস কাণ্ডে সারা দেশ জুড়ে বিক্ষোভে বিব্রত গেরুয়া শিবির। রাজ্যের দলেও সেই আঁচ পড়েছে। প্রতিবাদ জানিয়ে রাস্তায় নেমেছে তৃণমূল থেকে শুরু করে বাম ও কংগ্রেস। এই পরিস্থিতিতে রাজ্য বিজেপির পার্টি ক্লাসের ‘সিলেবাসে’ ঢুকেছে নারী নির্যাতনের বিষয়। তবে তাতে রয়েছে শুধুমাত্র এই রাজ্যের নারী নির্যাতনের অভিযোগগুলিই। সূত্রের খবর, সেগুলি নিয়ে প্রচারে নামতে বলা হয়েছে দলের কর্মীদের। জলপাইগুড়ি জেলায় প্রতিটি সাংগঠনিক ব্লকে পার্টি ক্লাস শুরু করেছে বিজেপি। জেলা নেতৃত্বের একাংশের দাবি, এখন যা পরিস্থিতি তাতে পাল্টা আক্রমণকেই প্রতিরক্ষার উপায় বলে মনে করছে রাজ্য নেতৃত্ব। তা ভেবেই এমন কৌশল। জলপাইগুড়ির এক জেলা নেতার কথায়, “রাজ্য নেতৃত্ব এ কথা বুঝেই সাম্প্রতিক অতীতে রাজ্যে তৃণমূলের আমলে কত নারী নির্যাতন হয়েছে তার তালিকা করে পাঠিয়েছে। কর্মীদের এগুলি জানানো হচ্ছে।”
সূত্রের খবর, চলতি সপ্তাহের মধ্যে জলপাইগুড়ি জেলায় ৩৩টি ব্লকে পার্টি ক্লাস শেষ করতে নির্দেশ দিয়েছে দল। এক এক দিন একাধিক সাংগঠনিক ব্লকে পার্টি ক্লাস হচ্ছে। সেই ক্লাসে কী পড়াতে হবে তার লিখিত সিলেবাস পাঠিয়েছে দল। তাতে রয়েছে নারী নির্যাতনের একটি চ্যাপ্টার। বিজেপির দেওয়া তালিকায় সবার উপরে রয়েছে গত সেপ্টেম্বরে ওঠা জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জে দুই নাবালিকাকে গণধর্ষণের অভিযোগ।
নিগৃহীতা দু’জন কীটনাশক খেয়েছিল, একজনের মৃত্যুও হয়েছিল। ওই অভিযোগ ওঠার পরে বিজেপির নারী মোর্চার সভানেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল থেকে শুরু করে গেরুয়া শিবিরের একাধিক নেতা রাজগঞ্জে গিয়েছিলেন। এরপরে ঘাটাল, বাগনান, কোচবিহারের দিনহাটা এবং মালদহের ঘটনার উল্লেখও রয়েছে। দিল্লির নির্ভয়া কাণ্ডের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে সম্প্রতি দক্ষিণ দিনাজপুরে এক আদিবাসী তরুণীর ওপরে নির্যাতনের অভিযোগকে। কর্মীদের কাছে বিজেপির নির্দেশ, অভিযোগগুলি সম্পর্কে ভাল করে জানতে হবে, প্রয়োজনে মুখস্থ করে নিজের এলাকায়, পরিচিতমহলে প্রচার করতে হবে।
বিজেপির ক্লাসে কারা পড়াবেন তার একটি প্যানেলও তৈরি হয়েছে। জেলা থেকে বাছাই করা নেতৃত্বরা গিয়ে ব্লকে ব্লকে কর্মীদের জড়ো করে রাজ্য নেতৃত্বের দেওয়া পাঠক্রম মেনে নিজেদের এজেন্ডা বোঝাচ্ছেন। কৃষি আইন থেকে শুরু করে বিজেপি রাজ্যে ক্ষমতায় এলে কী কী পদক্ষেপ করবে তাও বিস্তারিত ভাবে লেখা হয়েছে দলের ওই পুস্তিকায়। বিজেপির জেলা সভাপতি বাপি গোস্বামী বলেন, “দলের আদর্শ-বিচারধারা সম্পর্কে কর্মীদের জানানো হচ্ছে।”
বিজেপিকে কটাক্ষ করে জেলা তৃণমূল সভাপতি কৃষ্ণকুমার কল্যাণীর মন্তব্য, “নারী নির্যাতন নিয়ে রাজ্যে বিজেপি অপপ্রচার করছে। নারীদের যদি ওরা সত্যি সম্মান করতো তবে ওদের কর্মীদের কাছে হাথরসের ঘটনা উল্লেখ করে ক্ষমাও চাইত।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy