তাণ্ডব: বড়দিঘি চা বাগানে ঝড়ে ভাঙল গাছ। নিজস্ব চিত্র
দু’দিনের ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে চাষের ব্যাপক ক্ষতি হল উত্তরবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকায়।
কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ারে বৃহস্পতিবার দুপুর নাগাদ ঝড়ের সঙ্গে প্রবল শিলাবৃষ্টি শুরু হয়। মালদহে শিলাবৃষ্টি হয়েছে শুক্রবার। আলিপুরদুয়ারের ১ ও ২ নম্বর ব্লকে প্রায় এক কোটি টাকার শষ্যের ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। জেলা কৃষি আধিকারিক হরিশ রায় জানান,‘‘প্রাথমিক ভাবে অনুমান করা হচ্ছে প্রায় এক কোটি টাকার উপর শষ্যের ক্ষতি হয়েছে। তা আরও বাড়তে পারে। মূলত বোরো ধান, পাট ও লঙ্গা চাষের ক্ষতি হয়েছে।’’
আলিপুরদুয়ার শহর সংলগ্ন চন্ডীরঝাড় ও চালনিরপাক এলাকায় গিয়ে দেখা যায় বিঘের পর বিঘে ধান ও পাট গাছ মাটিতে নুইয়ে রয়েছে। এলাকার পঞ্চায়েত সদস্য আশিসকুমার রায় জানান, যে ভাবে শষ্যের ক্ষতি হয়েছে তাতে কৃষকদের মাথায় হাত। বিষয়গুলি ব্লক আধিকারিকের দফতরে জানানো হয়েছে।
মালদহের রতুয়া১ ও ২ নম্বর ব্লকের বাহারাল, আড়াইডাঙ্গা, পরানপুর, মির্জাপুর সহ প্রায় পাঁচ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ঝড় ও শিলাবৃষ্টি হয় শুক্রবার। রতুয়া লাগোয়া মানিকচকের নুরপুরের একাংশেও বৃষ্টি হয়। ওই এলাকায় প্রচুর আমবাগান রয়েছে। ফলে মাথায় হাত পড়েছে আমচাষিদের। আম ঝরে পড়ার পাশাপাশি শিলের আঘাতে গাছে থাকা আমেরও ক্ষতি হবে বলে আশঙ্কা করছে উদ্যানপালন দফতর।
মালদহের উদ্যানপালন দফতরের সহ অধিকর্তা রাহুল চক্রবর্তী বলেন, ‘‘চড়া রোদের মধ্যেই ওই এলাকাগুলিতে ১০০ থেকে ১৫০ গ্রাম ওজনের শিল পড়েছে। শিলে আমের ক্ষতিতো হবেই। তবে শিলের আঘাত পাওয়া আম পচে গিয়ে ঝরে পড়তে সপ্তাহখানেক সময় লাগে। ফলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনই বলা সম্ভব নয়।’’
আড়াইডাঙ্গার আমচাষি লোকনাথ কুমার বলেন, ‘‘এ মাসের শেষ থেকে আম উঠতে শুরু করবে। শিলে সব শেষ হয়ে গেল।’’
ঝড় ও বৃষ্টিতে ফসলের ক্ষতি হয়েছে কোচবিহারেও। বৃহস্পতিবার জেলার তুফানগঞ্জ, দিনহাটা ও মাথাভাঙার বিস্তীর্ণ এলাকায় ঝড়বৃষ্টি হয়। ভুট্টা সহ আনাজ খেতেরও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। কোচবিহার জেলা পরিষদের সভাধিপতি পুষ্পিতা ডাকুয়া জানান, প্রাথমিক হিসেবে জেলাজুড়ে প্রায় কোটি টাকারও বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy