প্রাক্তন বিদেশ সচিব হর্ষবর্ধন শ্রীংলা৷
দার্জিলিং জেলায় নগরায়ণের পরিবেশ খুবই ভাল এবং উন্নতি উল্লেখযোগ্য ভাবে দেখা যাচ্ছে বলে মনে করছেন দেশের প্রাক্তন বিদেশ সচিব তথা জি২০ শীর্ষ সম্মেলনের দেশের চিফ কোঅর্ডিনেটর হর্ষবর্ধন শ্রীংলা৷ জিটিএ সূত্রের খবর, গত ১৩ এপ্রিল জিটিএ প্রধান অনীত থাপাকে চিঠি দিয়ে পাহাড়ের তো বটেই জেলার ভূয়সী প্রশংসা করেছেন শ্রীংলা। বিশেষ করে, বিভিন্ন অনুষ্ঠানগুলিতে অনীত ব্যক্তিগত ভাবে নজর রাখায় শীর্ষ সম্মেলন সফল হয়েছ বলে প্রাক্তন বিদেশ সচিব চিঠিতে জানিয়েছেন। পাহাড়ের নেতারা অনেকের প্রশ্ন, শ্রীংলা কি আগামী লোকসভায় প্রার্থী হতে চাইছেন? তাই নিজের পৈতৃক ভূমিতে নতুন করে নজর দিয়েছেন? দিল্লির আমলাদের শীর্ষ স্তর থেকেও তাঁর পরিচিতদের সঙ্গে নিয়মিত যোগযোগ রেখে চলেছেন বলে খবর।
তবে তিনি প্রার্থী হলেও কোন শিবির থেকে দাঁড়াতে পারেন তা নিয়েও পর্যালোচনা শুরু হয়েছে। রাজ্যের শাসক দল, নাকি দিল্লির শাসক দলের প্রার্থী হবেন তিনি, তা নিয়ে পাহাড়ে জোর আলোচনা চলছে। বিজেপি নেতারা পাহাড়ের বলছেন, এখন সবাই আগামী পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে ব্যস্ত। তার পরে পরের বছরের লোকসভা ভোট। সেখানে অনেকের নামই বিবেচিত হয় একটি আসনের জন্য। তালিকা সবই দিল্লি থেকে তৈরি হবে। আর রাজ্যের শাসক দলের একাংশের বক্তব্য, হর্ষবর্ধন শ্রীংলা প্রার্থী হতেই পারেন। যা নিয়ে আলোচনা শোনা গেলেও চূড়ান্ত কিছু নেই।জিটিএ প্রধান অনীত থাপাও এই নিয়ে কিছু বলেননি। তিনি জানিয়েছেন, প্রাক্তন বিদেশ সচিব জি২০ শীর্ষ সম্মেলন সফল ভাবে দার্জিলিং জেলায় শেষ হওয়ায় শুভেচ্ছাবার্তা দিয়েছেন। পাহাড় নিয়ে উনি সম্মেলনের সময় কথাও বলেছেন। দলীয় সূত্রের খবর, দার্জিলিং আসনের জেতাহারা বরাবর পাহাড়ের একটি বড় অংশের ভোটের উপর নির্ভর করে থাকে। দার্জিলিং, কালিম্পং, মিরিক, কার্শিয়াং মিরিকে পাহাড়ে যে প্রার্থী বেশি ভোট পান তিনি জেতেন। স্থানীয়দের বদলে বাইরে থেকে ‘পরিচিত নামে’র প্রার্থী এই আসনে দাঁড় করানো ৮০ দশকের পর থেকে শুরু হয়। ইন্দ্রজিৎ খুল্লার, যশবন্ত সিংহ, সুরেন্দ্র সিংহ অহলুওয়ালি, রাজু বিস্তা শেষ সংযোজন। বিজেপি গতবার ভোটেও রাজু বিস্তার আগে দেশের জনপ্রিয় এক ধর্মগুরুর নাম এই আসনে ভেবে আলোচনা শুরু করেছিল। একাধিকবার পাহাড়ে এলেও শেষ অবধি তিনি দাঁড়াননি। এবার হর্ষবর্ধন শ্রীংলা’র নাম নিয়ে সেই জল্পনা শুরু হয়েছে। পাহাড়ের নেতারা জানান, দার্জিলিঙের আদি বাসিন্দা হিসাবে শ্রীংলার দার্জিলিং পাহাড়ে পরিচিতি রয়েছে। আত্মীয়েরা ছাড়াও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের লোকজনের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ রয়েছে।
গত বছরের শেষ থেকে দার্জিলিঙে জি২০ মতো শীর্ষ সম্মেলন দার্জিলিং জেলায় নিয়ে আসার ক্ষেত্রে শ্রীংলাই মুখ্য ভূমিকা নেন। অনেকে তাঁর পাহাড় যোগাযোগের কথা বলেন, তেমনিই তিনি ভোটে দাঁড়াতে পারেন বলে মনে করছেন। তাই সম্মেলনের শেষেও জিটিএ প্রধানের সঙ্গে তিনি যোগযোগ রেখে চলেছেন। জিটিএ কর্তৃপক্ষের অবশ্য দাবি, পুরোটাই সৌজন্য। এর মধ্যে কোনও রাজনীতি নেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy