জেলা আদালতে আবার হাজির করানো হল হানকে। নিজস্ব চিত্র।
সীমান্তে চিনা নাগরিক হান চুনওয়েই গ্রেফতারের পর কেটে গিয়েছে ১৫ দিন। তবুও ক্র্যাক করা যায়নি তাঁর অ্যাপেলের ল্যাপটপ ও আইফোন। ল্যাপটপ, আইফোন ক্র্যাকের জন্য হায়দরাবাদের সেন্ট্রাল ফরেন্সিক সায়েন্স লাইব্রেরিতে(সিএফএসএল) পাঠানো হচ্ছে বলে জানিয়েছে রাজ্যের স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্স(এসটিএফ)।
শুক্রবার হানকে মালদহ জেলা আদালতে পেশ করে এসটিএফ। হানের হয়ে আদালতে সওয়াল জবাব করেন তাঁর আইনজীবী শিলিগুড়ির বাসিন্দা জ্ঞানেন্দ্র দেবাং। তিনি বলেন, ‘‘বিনা অনুমতিতে প্রবেশ ছাড়া আমার মক্কেলের বিরুদ্ধে আর কোনও তথ্য মেলেনি। তাই তাঁর জামিনের আবেদন করা হয়েছিল। বিচারক জামিনের আবেদন নাকচ করেছেন।’’ ল্যাপটপ, আইফোন ফেরত চেয়ে আদালতে আবেদন করেন হানের আইনজীবী। সরকারি আইনজীবী দেবজ্যোতি পাল বলেন, ‘‘ল্যাপটপ, আইফোন তদন্তে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মান্দারিন ভাষায় পাসওয়ার্ড লক করা হয়েছে বৈদ্যুতিন যন্ত্রগুলির। হানও তদন্তে এসটিএফকে সহযোগিতা করেননি। দায়িত্বপ্রাপ্ত সিজেএম রুপেন্দ্রনাথ বসু ল্যাপটপ, আইফোন ফেরতের আবেদন নাকচ করেছেন। এ ছাড়া হানকে ৯ জুলাই পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’’
১০ জুন কালিয়াচকের মিলিক সুলতানপুর সীমান্তে চিনা নাগরিক হান চুনওয়েইকে আটক করে পুলিশকে হস্তান্তর করে বিএসএফ। পুলিশ হেফাজতে নেওয়ার চার দিনের মধ্যেই মামলা হস্তান্তর হয় এসটিএফের কাছে। এসটিএফ কলকাতায় নিয়ে গিয়ে হানকে জেরা করে। এসটিএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, চিনা ভাষায় বিশেষজ্ঞদের দিয়ে জেরা করা হয় হানকে। তারপরেও তিনি তদন্তে সহযোগিতা করেননি। এমন কী, ল্যাপটপ, আইফোন খুলতেও সহযোগিতা করেননি। ল্যাপটপ, আইফোনেই হানের ভারতে প্রবেশের রহস্য লুকিয়ে রয়েছে বলে মত এসটিএফের। তাই ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য ল্যাপটপ, আইফোন পাঠানো হচ্ছে হায়দরাবাদে।
এদিকে, হানের বিরুদ্ধে প্রতারণা, ফৌজজারি, সাইবার অপরাধের মতো একাধিক মামলা রয়েছে উত্তরপ্রদেশে। হানের বিরুদ্ধে ‘ব্লু কর্ণার’ নোটিশও জারি রয়েছে। হানকে নিজেদের হেফাজতে পেতে উত্তরপ্রদেশের আদালতে মামলা করে অ্যান্টি টেরোরিজম স্কোয়ার্ড(এটিএস)। এটিএস সূত্রে জানা গিয়েছে, আদালত আবেদন মঞ্জুর করেছে। সব ঠিক থাকলে আজ, শনিবার হানকে মালদহ জেল থেকে উত্তরপ্রদেশে নিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এটিএস জানিয়েছে, হোটেল ব্যবসার আড়ালে চিনে ভারতীয় সিম পাচারের কারবার চালাতেন হান। অ্যাকাউন্ট হ্যাক করার কাজে সিমকার্ডগুলি ব্যবহার হত। তাঁর বন্ধু সান জিয়াংকে গ্রেফতার করে এমনই তথ্য মিলেছে বলে দাবি এটিএসের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy