Advertisement
E-Paper

কাজ কী ভাবে ভাবছে জিটিএ

পাহাড়ের হোটেল, রেস্তরাঁ, হোমস্টে, রিসর্ট, পরিবহণ এবং চা বাগানের উপরেই মূলত টিকে থাকে অর্থনীতি। চা বাগানে বংশ পরম্পরায় কাজের রীতি রয়েছে। অস্থায়ী হিসাবে কোনও কোনও সময় কাজ মিললেও বিপুলভাবে নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ নেই।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

কৌশিক চৌধুরী

শেষ আপডেট: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০৩:৩৮
Share
Save

গত পাঁচমাসে দার্জিলিং ও কালিম্পঙের পাহাড়ি এলাকায় ফিরে এসেছেন প্রায় ৪৪ হাজার পরিযায়ী শ্রমিক। জিটিএ-র তরফে করা এক সমীক্ষায় এই তথ্য সামনে এসেছে। গত মে-জুনের পর থেকে বিমান, ট্রেন, বাসে করে দফায় দফায় ওই পরিযায়ীরা পাহাড়ে ফিরেছেন। এদের মধ্যে অনেকেই দুবাই, শারজায় নানা কাজ করতেন। এ ছাড়াও অনেকেই দেশের বিভিন্ন শহরের হোটেল, রেস্তরাঁ, নানা সংস্থায় কর্মরত ছিলেন। জিটিএ সূত্রের খবর, আনলক চালু হয়ে গেলেও এঁদের অধিকাংশই আপাতত ফিরছেন না। অনেকে চাকরি হারিয়েছেন। কারও বেতন কমায়, বাইরে থেকে কাজ করার ক্ষেত্রে সমস্যা দেখা দিয়েছে। অনেকে এখনই বিদেশে ফিরতে চাইছেন না। বাড়ির এলাকায় থেকেই সকলে কাজের খোঁজ শুরু করেছেন।

এই পরিস্থিতিতে জিটিএ কর্তারা মনে করছেন, পাহাড়ে নতুন কর্মসংস্থান দরকার। পরিযায়ীদের অনেকের পরিবার এদের উপর নির্ভরশীল ছিল। ফলে এরা কাজ না পেলে পরিবারগুলিও সমস্যায় পড়বে। কিন্তু করোনা আবহে পাহাড়ের অর্থনীতির মেরুদণ্ড পর্যটন শিল্প ধুঁকছে। পরিবহণেরও একই হাল। এই অবস্থায় ১০০ দিনের কাজ, সরকারি নির্মাণ কাজে জোর দিচ্ছে জিটিএ। পাশাপাশি পাহাড়ে শান্তি বজায় রেখে পর্যটনকে স্বাভাবিক করতেই হবে বলে জানিয়েছেন বিনয় তামাং, অনীতে থাপারা। ইতিমধ্যে পর্যটন সংক্রান্ত বিভিন্ন কর মুকুবের দাবি মুখ্যমন্ত্রীকে জানানো হয়েছে। মোর্চা সভাপতি হিসাবে বিনয় তামাং চিঠিও দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘‘পাহাড়ের অর্থনীতির মেরুদন্ড পর্যটন। তা শুরু হলেও আগের মত অবস্থার ধারেকাছেও নেই। ধীরে ধীরে সেই পরিস্থিতি হবে। সেখানে ৪৪ হাজার পরিযায়ী পাহাড়ে এসেছেন। এদের সকলের দায়িত্বের বিষয় রয়েছে।’’

পাহাড়ের হোটেল, রেস্তরাঁ, হোমস্টে, রিসর্ট, পরিবহণ এবং চা বাগানের উপরেই মূলত টিকে থাকে অর্থনীতি। চা বাগানে বংশ পরম্পরায় কাজের রীতি রয়েছে। অস্থায়ী হিসাবে কোনও কোনও সময় কাজ মিললেও বিপুলভাবে নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ নেই। সিঙ্কোনা বাগানের একই অবস্থা। বাকি ক্ষেত্র ধুঁকছে। আবার জিটিএ-র মত সরকারি স্তরে কাজ করেও হাজার হাজার কর্মী এখনও অস্থায়ী। তাঁরা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। নতুন করে শূন্যপদ পূরণ হচ্ছে না। অন্য সরকারি দফতরগুলিরও কমবেশি একই হাল।

জিটিএ চেয়ারম্যান অনীত থাপা বলেন, ‘‘প্রথমত আমরা আলাদা রাজ্যের জন্য ৮০-র দশক থেকে লড়াই করে চলেছি। সেটা আমাদের মূল দাবি ঠিকই। কিন্তু তা করতে গিয়ে পাহাড়ের পরিবেশ কখনও কখনও খুব খারাপ হয়েছে। বন্ধ, আগুন, গুলি চলেছে। এসব হলে বিনিয়োগ কেউ করে নাকি। আমরা বিনিয়োগের পরিস্থিতিতে পৌঁছতে চাইছি। কার্শিয়াঙে দেশের অন্যতম একটি সংস্থা চা পর্যটন প্রকল্প করতে আসছে। আরও একাধিক প্রকল্পের কথা হচ্ছে। কর্মসংস্থান তৈরি না করলে তো আমাদের সন্তানেরা চিরকাল পরিযায়ী হয়েই থাকবে।’’

GTA Migrants Labour Work Job Less

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

এটি একটি প্রিন্ট আর্টিক্‌ল…

  • এমন অনেক খবরই এখন আপনার হাতের মুঠোয়

  • সঙ্গে রোজ পান আনন্দবাজার পত্রিকার নতুন ই-পেপার পড়ার সুযোগ

  • ই-পেপারের খবর এখন শুধুই ছবিতে নয়, টেক্সটেও

প্ল্যান সিলেক্ট করুন

মেয়াদ শেষে নতুন দামে আপনাকে নতুন করে গ্রাহক হতে হবে

Best Value
এক বছরে

৫১৪৮

১৯৯৯

এক বছর পূর্ণ হওয়ার পর আপনাকে আবার সাবস্ক্রিপশন কিনতে হবে। শর্তাবলী প্রযোজ্য।
*মান্থলি প্ল্যান সাপেক্ষে
এক মাসে

৪২৯

১৬৯

এক মাস পূর্ণ হওয়ার পর আপনাকে আবার সাবস্ক্রিপশন কিনতে হবে। শর্তাবলী প্রযোজ্য।