ফাইল চিত্র।
‘দিদিকে বলো’-তে অভাব-অভিযোগ জানিয়ে ছিলেন অনেকেই। তাঁদের ডেকে কথা বলার সময় ব্যবস্থাপনার গোলমালে মেজাজ হারালেন পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব। তাঁর দফতরের আধিকারিক এবংঅনুষ্ঠানে হাজির পিকে’র দলের একাংশের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। যদিও পরে তিনি জানান, গাফিলতি তাঁর দফতরের তরফেই হয়েছিল।
শিলিগুড়ি পুরসভার ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা শিলা সাহা কয়েকবছর ধরে ডিজিটাল রেশন কার্ড পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ। লকডাউনের সময় পাননি কুপনও। ‘দিদিকে বলো’র পোর্টালে অভিযোগ জানিয়েছিলেন তিনি। তাঁর মত আরও অনেকেই রেশন কার্ডের সমস্যা নিয়ে, বার্ধক্য ভাতা বা কন্যাশ্রী প্রকল্পের টাকা না পাওয়ার মতো
অভিযোগ জানিয়েছিলেন। শুক্রবার নিজের নির্বাচনকেন্দ্র ডাবগ্রাম-ফুলবাড়িতে এরকম বেশ কিছু বাসিন্দার অভিযোগ শোনার আয়োজন করেছিলেন পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব। সেখানেই ব্যবস্থাপনার গোলমালে মেজাজ হারিয়ে ক্ষোভপ্রকাশ করেন মন্ত্রী।
এ দিন আশিঘর মোড় সংলগ্ন একটি ভবনে শিলিগুড়ি পুরসভার কয়েকটি ওয়ার্ড এবং ডাবগ্রাম ১ ও ২ নম্বর পঞ্চায়েতের বেশ কয়েকজন অভিযোগকারীকে ডাকা হয়েছিল। প্রশাসন, পুলিশ এবং নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে শুরু হয় ওই বৈঠক। একের পর এক অভিযোগকারী ডিজিটাল রেশন কার্ড না পাওয়া এবং কুপন না পাওয়া নিয়ে অভিযোগ করার পরে পর্যটনমন্ত্রী খাদ্যদফতরের আধিকারিককে তলব করেন। তখন সেখানে ওই দফতরের কেউ ছিলেন না। তাতেই মেজাজ হারান মন্ত্রী। তিনি প্রশ্ন করেন, আধিকারিক উপস্থিত নেই কেন? কেন সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা না করে এই অনুষ্ঠান হল, সেই প্রশ্নও করেন তিনি। যদিও পিকের দলের সদস্যরা তাঁকে জানান, এই অনুষ্ঠানের জন্য প্রয়োজনীয় নথিপত্র তাঁর দফতরে আগেই জমা করা হয়েছিল।
এ দিনের শুনানিতে ১৭ জনের তালিকায় দেখা যায় একই ব্যক্তির নাম তিনবার লেখা হয়েছে। অনুপস্থিত ছিলেন দু’জন। আধিকারিকরা মন্ত্রীকে জানান, অভিযোগকারীদের মোবাইল নম্বর না থাকার জন্য তাঁদের কয়েকজনের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তাহলে কি ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচি নিয়ে পিকের দলের সঙ্গে মন্ত্রীর দফতরের সমন্বয়ের কোনও অভাব রয়েছে? গৌতম দেব বলেন,‘‘"পিকের দলের নয়, আমার নিজের দফরের তরফেই কিছু সমন্বয়ের অভাব ছিল। সেগুলি মিটিয়ে ফেলা হচ্ছে।’’
‘দিদিকে বলো’ পোর্টালে অভিযোগ জানানোর পর কয়েকজনের কাছে এসএমএস বার্তা এসেছে। প্রশাসনিক কর্তাদের তাঁদের নিয়ে নতুন করে বৈঠক ডাকার কথা বলেছেন পর্যটনমন্ত্রী। তাঁর দাবি, এক ধাপে কাজ না হলেও মানুষের সমস্ত কাজ করে ফেলা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy