ছবি: সংগৃহীত।
ফের মেজাজ হারালেন পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব। এ বার শনিবার শিলিগুড়ি পুরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডে দত্ত ভবন চত্বরে দলের ডাকা নাগরিক সভায়। মন্ত্রীকে সমস্যার কথা বলছিলেন বাবলু মিশ্র নামে এক ব্যবসায়ী। জংশন স্টেশন এলাকায় তাঁর দোকান রয়েছে।
বাবলু বলেন, ‘‘জংশন স্টেশনে আগেও রেল পুলিশ দোকান উচ্ছেদ করতে গিয়েছিল। তখন সাংসদ সুরেন্দ্র সিংহ অহলুওয়ালিয়া এক দিন অন্য অনুষ্ঠানে সেখানে গেলে তাঁকে বিষয়টি জানানো হয়। তিনি আশ্বাস দিয়েছিলেন, একটা দোকানও উচ্ছেদ হবে না। আমরা খুশি হয়েছিলাম। গত এক মাস ধরে আবার উচ্ছেদের চেষ্টা করছে রেল। এটা একটু দেখুন।’’
পাশে বসা পুরসভার বিরোধী দলনেতার হাত থেকে মাইক্রোফোন নিয়ে পর্যটনমন্ত্রী বলেন, ‘‘ওই সময় এলাকায় আমিও যাই। সাংসদকে বলি। ওঁকে ভোট দিয়েছেন। ওঁকেই গিয়ে বলুন এখন। তিনি রাজনাথ সিংহের ঘনিষ্ঠ। কাজ হয়ে যাবে। অহলুওয়ালিয়াজি এখন দুর্গাপুরে রয়েছেন। তার ঠিকানা, ই-মেল আইডি দিয়ে দেব।’’
বাবলু: আমি সাংসদকে, বিজেপিকে ভোট দিয়েছি কী করে বলছেন? (মঞ্চ থেকে অন্যরা তাঁকে বসতে বলেন।)
পর্যটনমন্ত্রী: সাংসদ বিজেপির। কেন্দ্রীয় সরকার বিজেপির। দিল্লিতে বসে ওরা যা বলে তাতে সাপোর্ট দেন। আপনার কথা বলছি না। পরিসংখ্যান যা এসেছে ওই এলাকায়, সেই মতো বলছি, বিজেপি ভোট পেয়েছে।’’
বাবলু: আমাকে বলতে দিন। এখানে বলতে না পারলে আর কোথায় বলব? (মন্ত্রীর প্রতি) আপনি আমার দিয়ে আঙুল তুলছেন। আপনাদের অনেকের বাড়ির লোক তৃণমূল, বিজেপি দু দিকেই রয়েছে। তাঁদের বলুন, তাঁদের ভোট কোথায় যাচ্ছে?
(পুরসভার বিরোধী দলনেতা রঞ্জন সরকার তাঁকে বোঝাতে চেষ্টা করেন।)
বাবলু: অনেক ক্ষেত্রে তৃণমূল, বিজেপি একসঙ্গে চলছে। এখন আপনাকে বলব না তো কোথায় যাব?
পর্যটনমন্ত্রী: এটা নাগরিকসভা। আপনি বসুন। অনেক কিছু আলোচনা হচ্ছে। সাংবাদিকরা এটাকেই তুলে ধরবেন জানি। (কিছুটা শান্ত হয়ে বাবলুর প্রতি) আমি এই এলাকাতেই পর্যটন দফতরের অফিসে বসি। আমাকে আগে কখনও বলেছেন। আসুন। কথা বলুন।
এ দিনের সভায় যাঁদের পাশে বসিয়েছিলেন মন্ত্রী, তাঁদের অনেকেই বিজেপির হয়ে প্রচার চালিয়েছেন বলে দলেরই একটি অংশের দাবি। মন্ত্রী তাঁদের নিয়ে চলছেন কেন, সেই প্রশ্নও উঠেছে। নাগরিকসভার উদ্যোক্তাদের অন্যতম তথা তৃণমূল টাউন-১ ব্লক সভাপতি সঞ্জয় পাঠকের দাবি, ‘‘নাগরিকসভায় সকলেই আসতে পারেন।’’ সঞ্জয়ের ভাই বিজেপি করেন। বাবলু সেই নিয়েই মন্ত্রীকে প্রশ্ন করেন। সঞ্জয় এ নিয়ে কিছু বলতে চাননি। এলাকায় মদের দোকান নিয়ে অভিযোগ করেন বাসিন্দারা। মন্ত্রী ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy