অবহেলার ধুলো জমছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতি বিজড়িত কালিম্পঙের গৌরীপুর হাউসে। অথচ এই বাংলোই এক সময় গমগম করত প্রাণপ্রাচুর্যে। সেই গৌরবের ইতিহাসে এখন নকশা বুনছে মাকড়সার জাল।
কালিম্পং শহর থেকে দক্ষিণ দিকে রিং কিং পিং রোড ধরে দু-তিন কিলোমিটার পশ্চিম এগোলেই গৌরীপুর হাউস। ঝাঁ চকচকে কালিম্পং পলিটেকনিক কলেজের পাশে এই বাংলো যেন নিতান্তই বেমানান। অথচ এই বাড়ির সঙ্গেই জড়িয়ে বাঙালির গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস। যা এখন ঢাকা পড়ে গিয়েছে বিস্মৃতির ধুলোয়।
ইতিহাস বলছে, এক সময় এই গৌরীপুর হাউসের মালিক ছিলেন বাংলাদেশের ময়মনসিংহ জেলার বাসিন্দা ব্রজেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী। ১৯৩৮-১৯৪০ এই সময়ের মধ্যে গৌরীপুরের এই বাড়িতে পা রেখেছিলেন বিশ্বকবিও। মোট চার বার ওই বাড়িতে উঠেছিলেন তিনি। শেষ বার ১৯৪০ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর। ইতিহাস ঘাঁটলে দেখা যায়, রবীন্দ্রনাথের ৮০তম জন্মদিনও এখানেই পালিত হয়। জন্মদিনের সকালে তিব্বতি সাধুরা ওই বাড়িতে তাঁর সঙ্গে সময় কাটান। তথ্য বলছে, ওই দিন নিজের কবিতা কালিম্পঙের গৌরীপুর হাউস থেকেই টেলিফোনের মাধ্যমে আবৃত্তি করেছিলেন বিশ্বকবি। যা সরাসরি সম্প্রচারিত হয়েছিল আকাশবাণীতে। মুহূর্তে জুড়ে গিয়েছিল কলকাতা-কালিম্পং। সেই ইতিহাস ধরে রাখা আছে গৌরীপুর হাউসের গায়ে লাগানো একটি ফলকে।
২০১৮ সালের ২১ মার্চ এমন সোনালি ইতিহাস ধন্য সেই গৌরীপুর হাউস অধিগ্রহণ করে রাজ্য হেরিটেজ কমিশন। কিন্তু তার পর রবীন্দ্র-স্মৃতি সংরক্ষণের কাজ আর এগোয়নি বলে অভিযোগ। রবীন্দ্র অনুরাগীরা চাইছেন সংগ্রহশালা করা হোক ভগ্নদশার ওই বাড়িটিকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy