Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪
Gautam Deb

গৌতমের কাছে ক্ষোভ মোহনের

বুধবার তাঁর বাড়ি গিয়েছিলেন রাজ্যের পর্যটনমন্ত্রী ও তৃণমূলের উত্তরবঙ্গের কোর কমিটির চেয়ারম্যান গৌতম দেব।

মোহন বসু ও গৌতম দেব। ফাইল চিত্র

মোহন বসু ও গৌতম দেব। ফাইল চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ২৮ মে ২০২০ ০৩:১৩
Share: Save:

তাঁকে বাদ দিয়ে জলপাইগুড়ি পুরসভার প্রশাসক বোর্ড গড়ার পর থেকেই দলের জেলার শীর্ষ নেত্ৃত্বের সঙ্গে টানাপড়েন শুরু হয়েছে পুরসভার বিদায়ী চেয়ারম্যান মোহন বসুর। তাঁর মান ভাঙাতেই বুধবার তাঁর বাড়ি গিয়েছিলেন রাজ্যের পর্যটনমন্ত্রী ও তৃণমূলের উত্তরবঙ্গের কোর কমিটির চেয়ারম্যান গৌতম দেব। এ দিন বিকেলে আধঘণ্টা দু’জনের মধ্যে কথা হয়। তারপরেই সংবাদমাধ্যমে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন তৃণমূল পরিচালিত জলপাইগুড়ি পুরসভার বিদায়ী চেয়ারম্যান মোহন বসু।

এ দিন দলের জলপাইগুড়ি জেলা সভাপতি কৃষ্ণকুমার (কিষাণ) কল্যাণীকে তীব্র আক্রমণ করে বললেন, “স্পষ্ট কথা বলতে ভালবাসি তাই বলছি। কিষাণ কল্যাণীর নেতৃত্বে দল আর করব না। চা বাগানের মালিক কিষাণ কল্যাণী দলের নেতা-কর্মীদের নিজের শ্রমিক ভাবেন। দলের নেতা-কর্মীরা সবসময়ে ভয়ে থাকে। কিষাণ কল্যাণীর হাতে দল সুরক্ষিত নয়।” মোহনবাবু দাবি করেছেন, সব ক্ষোভের কথা গৌতমবাবুকে জানিয়েছেন। গৌতম দেব সব শুনে একমাস অপেক্ষা করতে বলেছেন বলে মোহনের দাবি।

পুরসভার প্রশাসক বোর্ড থেকে কিষাণের কথাতেই তাঁকে সরানো হয়েছে বলে অভিযোগ করে মোহন বলেন, “আমি পদের লোভী নই। আমাকে আগে বললেই দায়িত্ব থেকে সরে যেতাম। কিন্তু না বলে আমাকে সরানো হয়েছে। পরদিন কিছু না জানিয়ে পুলিশকে নির্দেশ দিয়ে আমার সরকারি নিরাপত্তা সরিয়ে দিয়েছে। আমাকে পিছন থেকে ছুরি মারা হয়েছে।” চেয়ারম্যান থাকাকালীন দু’বার সেরিব্রালে আক্রান্ত হয়েছিল মোহন। এ দিন তিনি বলেন, “হুইল চেয়ারে বসে আমি ভাত খাচ্ছি, সেই ছবি আমার ঘরে লোক পাঠিয়ে লুকিয়ে তুলে রাজ্য নেতৃত্বকে পাঠানো হয়েছে। বলা হয়েছে আমি অসুস্থ।”

পুরসভার প্রশাসক বোর্ড থেকে বাদ পড়ার পরে গত সোমবারই বিজেপি নেতৃত্বের একাংশ মোহনের সঙ্গে দেখা করেছিলেন। এ দিন এলেন গৌতম। গৌতম এ দিন প্রশাসনিক বৈঠকে জলপাইগুড়িতে এসেছিলেন। দুপুরে সার্কিট হাউসে বৈঠকের পরে তিনি মোহনের সঙ্গে বেগুনটারির বাড়িতে দেখা করতে গিয়েছিলেন। বেরিয়ে গৌতম বলেন, “মোহনদা দলেই আছেন। ওঁর অভিজ্ঞতা আমাদের দলের কাজে নিশ্চই লাগবে। মোহনদার দু’বার সেরিব্রাল হয়েছে। এই মুহূর্তে তাঁকে মানসিক চাপের মধ্যে রাখা ঠিক নয়।”

জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূল সভাপতি কৃষ্ণকুমার কল্যাণীর মন্তব্য, “পুরসভার প্রশাসক বোর্ড বা সরকারি নিরাপত্তা প্রত্যাহার প্রশাসনিক বিষয়। আমার এক্তিয়ারের বাইরে।’’

অন্য বিষয়গুলি:

Gautam Deb Mohan Basu
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE